নীতীশ কুমার— ফাইল চিত্র।
এটাই তাঁর শেষ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডি (ইউ) সভাপতি নীতীশ কুমার। পূর্ণিয়ার তৃতীয় তথা শেষ দফার ভোটের প্রচারসভায় নীতীশ এ দিন জানিয়ে দেন, এটাই তাঁর শেষ ভোট। জনসভায় তিনি বলেন, ‘‘জেনে নিন, আজই ভোটের প্রচারের শেষ প্রহর। পরশু ভোটগ্রহণ (তৃতীয় তথা শেষ দফার)। আর এটাই আমার শেষ ভোট।’’
নীতীশের এ দিনের ঘোষণা রাজনীতি থেকে তাঁর স্বেচ্ছাবসরের ইঙ্গিত কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে নীতীশ-বিরোধীদের বক্তব্য, কঠিন সময়ে ‘শেষ ভোট’ বলে জেডি (ইউ) সভাপতি আসলে সহানুভূতি কুড়োতে চাইছেন। কারণ, এই বিধানসভা ভোটের নির্বাচনী সভায় নীতীশকে লক্ষ্য করে পচা ডিমও ছোড়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত দেড় দশক মু্খ্যমন্ত্রী পদে থাকলেও নীতীশ কোনওদিনই বিহারে বিধানসভা ভোটে লড়েননি। বরাবরই বিধান পরিষদের সদস্য থেকেছেন। এ বারেও যথারীতি তিনি বিধানসভা ভোটে লড়ছেন না। যদিও একাধিক বার লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছেন নীতীশ।
বিধানসভা মতোই বিধান পরিষদেও ‘নির্বাচিত’ হতে হয়। কিন্তু সেখানে সাধারণ নাগরিকরা ভোট দেন না। সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক ভোট দেন বিভিন্ন ক্ষেত্রভুক্ত পেশার মানুষ এবং পঞ্চায়েত-পুরসভার মতো স্থানীয় প্রশাসনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গেও একটা সময় বিধান পরিষদ ছিল। সাতের দশকে যুক্তফ্রণ্টের সরকার ক্ষমতায় এসে তার অবলুপ্তি ঘটায়। সারা ভারতে এখনও ৬টি রাজ্যে বিধান পরিষদ আছে। সেগুলি হল বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং কর্ণাটক।
এ দিন জনতার উদ্দেশে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের আবেদন, ‘‘যার শেষ ভাল তার সব ভাল। আপনারা সকলে হাত তুলে বলুন, আমাকে ভোট দেবেন কি না।’’ জনতা সমস্বরে নীতীশকে আশ্বস্ত করার পর স্থানীয় জেডি (ইউ) প্রার্থীর দিকে ইঙ্গিত করে জনতার উদ্দেশে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘‘আমি এঁকে নির্বাচনী জয়ের মালা অর্পণ করব তো?’’ জনতা তাতেও সায় দেয়।
আরও পড়ুন: বিহার ভোটে শরিকি সঙ্ঘাত, যোগীর সিএএ মন্তব্যের বিরোধিতায় নীতীশ
আরও পড়ুন: ফ্রান্স থেকে টানা উড়ানে ভারতে পৌঁছল ৩টি রাফাল, ঠাঁই হচ্ছে অম্বালায়