শরদ যাদব— ফাইল চিত্র।
আরজেডি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার চেষ্টা করেও ফল মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে আলাদা ভাবে বিহারের বিধানসভা ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ যাদবের লোকতান্ত্রিক জনতা দল (এলজেডি)। দলের সাধারণ সম্পাদক অরুণ শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘‘আমরা নিজেদের শক্তিতে ৫১টি আসনে লড়ব। এর মধ্যে প্রথম দফার নির্বাচনে একটি আসনে আমাদের প্রার্থী থাকবে।’’ প্রসঙ্গত, বিহারে মোট আসনের সংখ্যা ২৪৩।
প্রাক্তন জেডি (ইউ) সভাপতি শরদ গত বছরের লোকসভা ভোটে বিরোধী ‘মহাগঠবন্ধন’-এর তরফে মধেপুরা আসনে প্রার্থী হয়ে হেরে যান। বিধানসভা ভোটে কয়েকটি আসন চেয়ে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এবং কংগ্রেস নেতাদের কাছে শরদ আবেদন জানালেও তাতে ফল মেলেনি বলে অরুণ জানিয়েছেন।
বিধানসভা ভোটের আগে আসন রফা নিয়ে মতবিরোধের জেরে ‘মহাগঠবন্ধন’ ছেড়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝির হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি, নিষাদ সম্প্রদায়ের নেতা মুকেশ সহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি। সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন শরদ যাদব। অরুণের অভিযোগ, ‘‘নীতীশ কুমার বা বিজেপিকে হারানোর বিষয়টি বিহারের ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির ভাবনাতেই নেই। তারা আগে থেকেই ক্ষমতার অঙ্ক কষতে ব্যস্ত। তাই বাধ্য হয়েই আমরা আলাদা লড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।’’ তিনি জানান, ‘মহাগঠবন্ধন’-এর সঙ্গে আসনরফা নিয়ে অপেক্ষার কারণেই প্রথম দফার ভোটের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পারেনি এলজেডি।
আরও পড়ুন: আগামী বছরেই একাধিক করোনা টিকা, জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, জেডি (ইউ) সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ ২০১৭ সালে আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গ ছেড়ে এনডিএ জোটে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলে শরদ তাঁর বিরোধিতা করেন। পরিণামে জেডি (ইউ) থেকে বহিষ্কৃত হন এই বর্ষীয়ান নেতা।
আরও পড়ুন: কৃষকেরা সন্ত্রাসবাদী, আদালতের নির্দেশে কঙ্গনার বিরুদ্ধে এফআইআর কর্নাটক পুলিশের