ফাইল চিত্র।
রাজীব গাঁধী যে বার প্রথম অমেঠী থেকে উপনির্বাচনে লোকসভায় জিতে এসেছিলেন, সেই ভোটে রাজীবের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন শরদ যাদব। অধুনা নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ) ত্যাগ করে শরদ নিজের দল গড়েছেন। জয়প্রকাশ নারায়ণের সেই শিষ্য শরদ যাদবকে আজ রাহুল গাঁধী নিজের ‘রাজনৈতিক গুরুর সমান’ বলে আখ্যা দিলেন। বিহারে প্রচারে গিয়ে রাহুল বলেন, ‘‘শরদ যাদবজি আমাকে ভারতের রাজনীতি সম্পর্কে শিখিয়েছেন। এক দিক থেকে উনি আমার গুরু।’’
নীতীশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে জেডি(ইউ) ছেড়ে শরদ লোকতান্ত্রিক জনতা দল গড়েছিলেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি এ বার বিহারের ভোটে অনুপস্থিত। তাঁর কন্যা সুভাষিনী যাদব কংগ্রেসে যোগ দিয়ে মাধেপুরার বিহারিগঞ্জ থেকে প্রার্থী হয়েছেন। সেখানেই প্রচারে গিয়ে রাহুল বলেছেনন, ‘‘এখানে এসে শরদ যাদবের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। উনি অসুস্থ, আসতে পারেননি শুনে দুঃখ হল। ওঁর রাজনীতি গরিবের রাজনীতি। কয়েক বছর আগে অন্ধ্রের এক অনুষ্ঠানে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। আমি ওঁর মেয়ে সুভাষিণীকে বলেছি, উনি আমার গুরু হলে তুমি আমার বোন। তোমাকে রক্ষা করা আমার দায়িত্ব।’’
সুভাষিণীর জন্য ভোট চেয়ে এ দিন রাহুল বলেছেন, ‘‘আমি আপনাদের থেকে গ্যারান্টি চাই যে আপনারা শরদজির মেয়েকে জেতাবেন। নিজের জন্য নয়, আপনাদের নেতা শরদজির জন্য।’’ শরদ যাদবের প্রশংসা করে লকডাউনের সময় শ্রমিকদের পাশে না দাঁড়ানোর জন্য নরেন্দ্র মোদী এবং নীতীশ কুমারের সমালোচনায় সরব হন রাহুল।