প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি পিটিআই।
উৎসবের মরসুমে ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় এক দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে আজ থেকে জন আন্দোলনের ডাক দিলেন। এই পরিস্থিতিতে আজ ফের নির্দেশিকা জারি করে তাঁর সরকার জানাল, ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সভা করায় নিষেধ থাকছে না।
বস্তুত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ‘আনলক ৫’-এর নির্দেশিকাতেই রাজনৈতিক জনসভায় ছাড়ের কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। আজ রাজ্যগুলিকে পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ও যে রাজ্যগুলিতে উপনির্বাচন রয়েছে, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজনৈতিক সভা করা যাবে। একশো জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে অতীতে যে নির্দেশ জারি হয়েছিল, তা-ও আর প্রযোজ্য হচ্ছে না।
পরিবর্তে কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রেক্ষাগৃহের মতো বদ্ধ জায়গায় সভা হলে পঞ্চাশ শতাংশ আসন খালি রাখতে হবে। প্রেক্ষাগৃহের আসন সংখ্যা যতই হোক, সর্বাধিক দু’শো জন থাকতে পারবেন। কিন্তু খোলা জায়গায় সভার ক্ষেত্রে লোকসংখ্যা বেঁধে দেয়নি কেন্দ্র। সভায় উপস্থিত মানুষদের পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা, প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার বসানোর মতো বিষয়গুলি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে বেশি অপব্যবহার বাক্-স্বাধীনতার: সুপ্রিম কোর্ট
উৎসবের মরসুম ও শীতকালে করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে আজ একটি প্রচার অভিযানের সূচনা করেন মোদী। করোনার বিরুদ্ধে জন আন্দোলনের ডাক দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর টুইট, ‘‘করোনার বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই জনতাচালিত, যার মূল প্রেরণাশক্তি আমাদের কোভিড যোদ্ধারা। চলুন, করোনার বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়াই করি। সব সময়ে মাস্ক পরি, হাত পরিষ্কার রাখি, পরস্পরের সঙ্গে দু’গজ দূরত্ব বজায় রাখি।’’
আরও পড়ুন: হাথরস কাণ্ড: নয়া দাবি অভিযুক্তের
প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন ক্রীড়া ও বলিউডের তারকাদের একাংশ। মাস্ক পরা, পারস্পরিক দূরত্বের মতো বিষয়গুলি মেনে চলার জন্য আজ রেলের আধিকারিকদের শপথবাক্য পাঠ করান রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।
আরও পড়ুন: টিকা রাখতে খোঁজ কোল্ড স্টোরেজের
রেলের প্রতিটি জ়োন, ডিভিশন, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কারখানার কর্মীরা ওই শপথ নেন। সংক্রমণ রুখতে যখন এত তোড়জোড়, তখন দিনে-দুপুরে ভোটের জনসভায় ছাড় দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।