চিরাগ পাসোয়ান— ফাইল চিত্র
বিহারে আপাত-নিরুত্তাপ বিধানসভা ভোটকে হঠাৎই নতুন মাত্রা দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে বাবা রামবিলাস পাসোয়ানের মতোই ছেলে চিরাগও চলে এসেছেন আলোচনার শিরোনামে। পাশাপাশি, তৈরি করেছেন দলবদলের নয়া প্রবণতা।
দিন কয়েক আগেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বড় অংশের ধারণা ছিল, আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের ‘মহাগঠবন্ধন’কে দুরমুশ করে এনডিএ অনায়াসে জিতে যাবে। কিন্তু চিরাগের দল লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি)-র আলাদা লড়ার সিদ্ধান্তের জেরে ভোটের অঙ্ক এখন অনেকটাই এলোমেলো। রবিবার রাতে চিরাগের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে গত চার দিনে বিহার বিজেপির একাধিক প্রথম সারির নেতা এলজেপি-তে সামিল হয়েছেন। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি রাজেন্দ্র সিংহ, প্রাক্তন বিধায়ক রামেশ্বর চৌরাশিয়া, ঊষা বিদ্যার্থীরা রয়েছেন এই তালিকায়। প্রাক্তন এক সাংসদ-সহ আরও কয়েকটি নাম ঘিরে জল্পনা চলছে।
ভোটে আলাদা লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেও সর্বভারতীয় স্তরে এনডিএ জোটেই থাকার কথা জানিয়েছে এলজেপি। এমনকি চিরাগ পাসোয়ানের ঘোষণা, বিহারে বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দেবেন না তিনি। এলজেপি শুধুমাত্র সেই বিধানসভা আসনগুলিতেই লড়বে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডি(ইউ) প্রার্থী দিয়েছে। আর তাঁর এই ঘোষণা তৈরি করেছে দলবদলের নতুন প্রবণতা— যে আসনগুলি জেডি(ইউ)-র ভাগে পড়েছে, সেখানকার প্রভাবশালী বিজেপি নেতারা পাড়ি দিচ্ছেন এলজেপি-তে। বক্সারের দিনারা আসনে এলজেপির প্রার্থী হয়েছেন রাজেন্দ্র। রোহটাস জেলার নোখার প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক রামেশ্বর দল বদলে সেই আসনেই ফের প্রার্থী। পটনার পালিগঞ্জ কেন্দ্রেও ঊষার প্রার্থী হওয়া পাকা।
আরও পড়ুন: বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান শুরু
জেডি(ইউ)-র একাংশের অভিযোগ, পরিকল্পিত ভাবে বিহার বিজেপির নীতীশ-বিরোধী নেতারা এই কাজে মদত দিচ্ছেন। বিজেপি নেতা তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীর সঙ্গে নীতীশের সুসম্পর্ক রয়েছে। সুশীল ইতিমধ্যেই দলত্যাগী নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, এলজেপি প্রার্থীরা যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি ব্যবহার করেন, তবে আইনি পদক্ষেপ করবে বিজেপি। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা কতটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় নীতীশ শিবির।
আরও পড়ুন: জামিন রিয়ার, মাদক যুক্তি নস্যাৎ