বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ছবি: পিটিআই।
আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে সক্রিয় হয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডি(ইউ) নেতা নীতীশ কুমার। আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার সকালে দিল্লিতে রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গের সঙ্গে সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। বিকেলে তাঁরা দেখা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সঙ্গে।
কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ) গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে কংগ্রেসকে দূরে রেখে জাতীয় স্তরে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে ‘তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি’র নাম বদলে ‘ভারত রাষ্ট্র সমিতি’ করার কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন কেজরীওয়াল। সেখানে দু’জনে এই বার্তা দিয়েছিলেন। যদিও সম্প্রতি বিরোধী জোটের একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে ‘আপ’কে। তবে দিল্লি, পঞ্জাবের মতো রাজ্যে কেজরী আদৌ কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতায় রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে বিরোধী শিবিরে ধন্দ রয়েছে।
দিল্লি আসার আগে মঙ্গলবার পটনায় লালুর সঙ্গে বৈঠক করেন নীতীশ। তেজস্বী সে সময় ছিলেন দিল্লিতে। লালুর জমানায় রেলে ‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র তলবে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে বিহারে বিধানসভা ভোটে আরজেডি-জেডি(ইউ)-কংগ্রেস জোটের জয়ের পরে নীতীশ-তেজস্বীর শপথেও হাজির ছিলেন কেজরী।
কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০২৪-কে পাখির চোখ করে মূলত দু’টি সূত্র মেনে বিরোধী ঐক্য গড়তে চাইছেন খড়্গে। প্রথমত, লোকসভা নির্বাচনের আগেই কোনও আনুষ্ঠানিক বিরোধী জোট বা মঞ্চ তৈরির বদলে যত বেশি সম্ভব আসনে বোঝাপড়ার মাধ্যমে বিজেপি বিরোধী ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা হবে। দ্বিতীয়ত, আনুষ্ঠানিক বিরোধী জোট না ঘোষণা করার ফলে সেই জোটের কে নেতা বা ‘মুখ’ হবেন, তা নিয়ে বিতর্ক এড়িয়ে যাওয়া হবে। সূত্রের খবর, অনেক বিরোধীরই আপত্তি রয়েছে বুঝে কংগ্রেস আগেভাগে রাহুলকে বিরোধী জোটের নেতা হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করবে না। ইতিমধ্যেই বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে রাহুল নিজেও সেই ‘বার্তা’ দিয়েছেন।