লালুপ্রসাদ যাদব (বাঁ দিকে) এবং নীতীশ কুমার। —ফাইল চিত্র।
রাজনৈতিক দূরত্ব ভুলে সদ্য প্রাক্তন সঙ্গীর উদ্দেশে ‘সদর্থক’ বার্তা দিয়েছিলেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। নীতীশের ‘মহাগঠবন্ধনে’ ফেরার সম্ভাবনা উস্কে দিয়ে জানিয়েছিলেন যে, জেডিইউ প্রধানের জন্য ‘সর্বদাই দরজা খোলা’ রয়েছে। শনিবার এই বিষয়ে নীতীশকে প্রশ্ন করা হলে আরজেডির সঙ্গে ফের জোট বাঁধার সম্ভাবনা কার্যত খারিজ করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
শনিবার নীতীশকে লালুর ‘দরজা খোলা’ সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জেডিইউ নেতা বলেন, “কে কী বলল, তাতে আমি গুরুত্ব দিতে চাই না।” সব কিছু ঠিক ভাবে চলছিল না। তাই আমি তাদের (আরজেডি) ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি।” নীতীশের সংযোজন, “আমাদের মধ্যে কী ভুল ছিল, তা আমরা খতিয়ে দেখব।”
গত ২৭ জানুয়ারি নীতীশ তাঁর সাম্প্রতিকতম শিবির বদলটি করেন। ১৭ মাস আরজেডি, কংগ্রেস এবং বাম দলগুলিকে নিয়ে গঠিত জোটে থাকার পর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-তে যোগ দেওয়ার কথা জানান তিনি। ২৮ জানুয়ারি বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। অতীতে দু’বার বিজেপির হাত ছেড়ে ‘মহাগঠবন্ধন’-এ যোগ দিয়ে সরকার গঠন করেছেন নীতীশ। তার পর আবার জোট ছেড়ে এনডিএতে যোগ দেন। ২০১৭ সালে আরজেডি-কংগ্রেস জোট ত্যাগ করে বিজেপির সঙ্গে সরকার গঠন করেছিল নীতীশের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ। এর পর ২০২২ সালের অগস্টে আবার বিজেপি-বিরোধী জোটে ফেরেন তিনি।
আবার নীতীশ ‘মহাগঠবন্ধন’-এ ফিরে এলে কী হবে? এই প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার লালু বলেছিলেন, ‘‘আবার এলে দেখব। দরজা খোলাই থাকে।’’ লালুর তরফে নীতীশের প্রতি সুর নরমের ইঙ্গিত থাকলেও তেজস্বী অবশ্য ‘চাচা’ নীতীশের প্রতি আক্রমণ শানান। রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় যোগ দিয়ে নীতীশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনারা সকলেই জানেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কেমন? তিনি কারও কথা শুনতে চান না। তিনি বলতেন, মরে গেলেও বিজেপিতে যাব না। ২০২৪ সালের লোকসভায় বিজেপিকে হারানোর জন্য আমরা নীতীশজির সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তার জন্য যত আত্মত্যাগই করতে হোক না কেন, তবু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা ক্লান্ত এক মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগ করেছিলাম।’’