প্রতীকী ছবি।
বিহারে ২৮ অক্টোবর প্রথম দফায় ৭১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। তার আগে ৫২ হাজার ভোটারের বাড়ি গিয়ে ভোট নিয়ে আসবেন ভোটকর্মীরা। চাইলে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও সেখানে হাজির থাকতে পারেন। যেমন বুথে থাকেন।
অশীতিপর ও প্রতিবন্ধী ভোটারেরা যাতে বাড়ি বসে ভোট দিতে পারেন, নির্বাচন কমিশন তার পরিকল্পনা করেছিল বছরখানেক আগে। ২০১৯-এর শেষ লগ্নে ঝাড়খণ্ডের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটে ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসেবে তা বাস্তবায়িত হয়। বিহারের ২৪৩টি কেন্দ্রেই তার ব্যবস্থা হচ্ছে। তার মধ্যে প্রথম দফায় ৭১টি কেন্দ্রে ৮০ বছরের বেশি বয়সি ও প্রতিবন্ধী ভোটার আছেন চার লক্ষ। তাঁদের মধ্যে ৫২ হাজারের বেশি ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে চান।
বাড়িতে ভোট দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে অশীতিপর ও প্রতিবন্ধী ভোটারদের। সে-ক্ষেত্রে ভূমিকা নেবেন বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)। ভোটের নির্দিষ্ট দিনের আগেই রিটার্নিং অফিসারের ঠিক করে দেওয়া তারিখে ব্যালট নিয়ে তিন ভোটকর্মী ভোটদাতার বাড়ি যাবেন। ভোটার ব্যালটে ছাপ দিলে তা নিয়ে ফিরবেন তাঁরা। গোটা প্রক্রিয়াকে সুরক্ষিত ও স্বচ্ছ রাখতে ভিডিয়ো করা হবে। নির্দিষ্ট তারিখে ভোটার বাড়িতে না-থাকলে অন্য দিন তাঁর বাড়ি গিয়ে ভোট নিতে পারেন ভোটকর্মীরা।
বিহারে ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় ৯৪টি এবং ৭ নভেম্বর তৃতীয় দফায় ৭৮টি কেন্দ্রে ভোট হবে। ওই দু’দফায় প্রায় ১২ লক্ষ অশীতিপর ও প্রতিবন্ধী ভোটারের মধ্যে ক’জন পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে চান, তার তালিকা তৈরি করতে বিএলও-রা তাঁদের বাড়ি যাবেন। নভেম্বরে ৫৬টি বিধানসভা এবং একটি লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও বাড়িতে ভোট দিতে পারবেন ওই ভোটারেরা। আগামী দিনে বিধানসভা ও লোকসভা ভোটেও এই ব্যবস্থা থাকবে। গণতন্ত্রের উৎসবে আরও বেশি ভোটারের অংশ সুনিশ্চিত করতেই এই পরিকল্পনা বলে জানাচ্ছেন নির্বাচন সদনের কর্তারা।