সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি। ছবি: টুইটার থেকে
প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোটের গণনা বাকি। সে কারণেই বিহার ভোটের চূড়ান্ত ফল আসতে হতে পারে গভীর রাত। মঙ্গলবার বিকেলে দ্বিতীয় দফার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। ডেপুটি কমিশনার চন্দ্রভূষণ কুমার জানান, বিকেল ৫.৫০ পর্যন্ত ২.৭ কোটি ভোট গণনা হয়েছে।
করোনা প্রকোপের মধ্যে প্রথম নির্বাচন পরিচালনা করছে কমিশন। সংক্রমণ রুখতে তাই সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভোট গণনার আয়োজনও অনেকটা পাল্টেছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, ২০১৫ সালে ৩৮টি ভোট গণনা কেন্দ্র ছিল, এ বার তা বেড়ে হয়েছে ৫৫টি। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে গণনা। তবে দুপুরের সাংবাদিক বৈঠকে কমিশন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনওরকম সমস্যা ছাড়াই ভোট গণনা এগচ্ছে।
এ বারে বিহারে ভোট দিয়েছেন ৪ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ। প্রথম সাংবাদিক বৈঠকের সময় বলা হয় তখনও পর্যন্ত ৯২ লক্ষ ভোট গণনা করা হয়েছে। তারপর বিকেলের সাংবাদিক বৈঠকে বলা হয়, গণনার পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ২.৭ কোটি। মানে অর্ধেকের কাছাকাছি ভোট গণনা করা বাকি রয়েছে। তবে এবারে বদলেছে ভোট গণনার আয়োজন। আগে এক একটি কেন্দ্রের ভোট গণনা সম্পূর্ণ করতে ২৫-২৬ রাউন্ড গণনা করতে হত। এবারে সেটি বেড়ে হয়েছে ৩৫ রাউন্ড। স্বাভাবিক কারণে অনেকটা সময় লাগবেই। তাই ভোটের চূড়ান্ত ফল আসতে রাত গড়াতে পারে বলে মনে করছে কমিশন। তবে কমিশনের আশা, মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই বেশিরভাগ আসনের ফল জানা যাবে।
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের সামনে প্রশ্নে উঠে আসে ইভিএম হ্যাক প্রসঙ্গও। সেখানে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নতুন করে ইভিএম-এর বিশ্বাসয়োগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করার কিছু নেই। এর আগে একাধিকবার ইভিএম পরীক্ষা করা হয়েছে। কেউ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। সেই কারণে একথা জোর দিয়ে বলা যায়, ইভিএম যে কোনও হ্যাকিং প্রতিরোধ করতে পারে।
আরও পড়ুন: লাইভ: বিহারে একক বৃহত্তম দল হতে চলেছে বিজেপি, নীতীশের দল তিন নম্বরে
আরও পড়ুন: বিহারে বহু কেন্দ্রে ব্যবধান ৫ থেকে ৫০০! সুতোয় ঝুলছে প্রার্থীদের ভাগ্য