রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান তেজস্বী যাদব।
বিহারে আরজেডি-কংগ্রেস মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছেন তেজস্বী যাদব। পিতা লালু প্রসাদ দুর্নীতি মামলায় জেলে থাকায় এ বার নির্বাচনের দায়িত্ব এসে পড়েছে তেজস্বীর কাঁধে। আজ দু’দলের জোট নিয়ে আলোচনার শেষে ঠিক হয়েছে ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় ১৪৪ আসনে লড়বে লালু-তেজস্বীর দল আরজেডি। এ দিকে আজ দাবি মতো আসন ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদের আশ্বাস না-মেলায় মহাজোটের সাংবাদিক বৈঠক বয়কট করেন বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি) দলের নেতা মুকেশ সাহানি।
এনডিএ-তে আসন নিয়ে রামবিলাস পাসোয়ানের দল এলজেপি ও নীতীশ কুমারের জেডিইয়ের মধ্যে মনোমালিন্য এখনও অব্যাহত। সে কারণে এখনও বিহারে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করে উঠতে পারেননি বিজেপি। এনডিএ-তে দর কষাকষি যখন চালু রযেছে তখন
আজ পটনায় আসন সমঝোতার বিষয়টি সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করে বিরোধী মহাজোট। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে তেজস্বী জানান, ‘‘দল ১৪৪টি আসন লড়বে। তার মধ্যে থেকেই জোট শরিক ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে আসন ছাড়া হবে। কংগ্রেস লড়বে ৭০টি আসনে। বাম দল পাবে ২৯টি আসন।’’
আরও পড়ুন: ‘আপেলের দাম দিল্লিতে ১০০, মাঝের টাকা কই’
আজ মহাজোটকে অস্বস্তিতে ফেলে দেন ভিআইপি দলের নেতা মুকেশ সাহানি। মহাজোটের আলোচনায় ঠিক হয় আরজেডি-র পাওয়া আসন থেকেই কিছু আসন ছাড়া হবে ওই দলকে। সাংবাদিক সম্মেলনে তেজস্বীর ভাই তেজপ্রতাপের পাশে বসেছিলেন মুকেশ। অন্য দলের নেতা বলার পরে সাহানিকে জোট প্রশ্নে বলার অনুরোধ করলে হঠাৎই সুর বদলে তিনি বলেন, ‘‘মহাজোট আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমার দলকে ২৫টি আসন ও উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আসলে সময়ে পিঠে ছুরি মারা হল।’’ এ কথা বলেই সাংবাদিক সম্মেলন ছেড়ে বেরিয়ে যান ওই নেতা। হতবাক হয়ে যান অন্য শরিকেরা।
আরও পড়ুন: এ বার বিহারে ‘ধর্ষিত’ হয়ে আত্মহত্যা দলিত কিশোরীর
অন্য দিকে, টানাপড়েন অব্যাহত রয়েছে এনডিএ শিবিরেও। সূত্রের মতে, মূলত এ ক্ষেত্রে বেশি আসন চেয়ে অনড় রামবিলাসের দল এলজেপি। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ৪২টি আসনে লড়েছিলেন রামবিলাস। জেতেন মাত্র দু’টি আসনে। বিজেপি সূত্রের মতে, সে সময়ে নীতীশ কুমারের দল বিজেপির বিরোধিতা করে মহাজোটের শরিক হওয়ায় ওই সংখ্যক আসন সহজেই ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছিল।