স্ট্রংরুমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইভিএম মেশিন। ছবি: পিটিআই।
কোভিড-১৯ আবহে ভোটগণনার ক্ষেত্রে নিয়ম পরিবর্তন করল নির্বাচন কমিশন। যার প্রথম প্রয়োগ দেখা যাবে আগামী মঙ্গলবার বিহার ভোটের ফল প্রকাশের দিন।
করোনা প্রতিরোধের অন্যতম শর্ত, ভিড়কে দূরে রেখে দূরত্ববিধি বজায় রাখা। সে কারণে পঞ্চাশ শতাংশ কমল গণনা টেবল সংখ্যা। বাড়ছে গণনা হলের সংখ্যা। আর গণনা শুরু, চলাকালীন আর শেষে কেন্দ্রগুলি জীবাণুনাশ করার জন্য পইপই করে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বুঝিয়েছেন নির্বাচন সদনের কর্তারা। গণনা টেবলে হাজির করার আগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কন্ট্রোল ইউনিট (সিইউ) এবং ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেল' (ভিভিপ্যাট)-এর জীবাণুনাশ করা হবে।
সাধারণত একটি হলে ১৪টি টেবলে ভোট গণনা হত। কিন্তু এ বার সেই সংখ্যা এক লাফে কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, একটি গণনা হলে কোনওভাবেই সাতের বেশি টেবল থাকবে না। সে কারণে প্রয়োজনে একটি বিধানসভা আসনের গণনার জন্য তিন-চারটি হল ব্যবহার করা হতে পারে। হল বাড়লে একটি জায়গায় ভিড় অনেকটাই কম হবে। একে অপরের সংস্পর্শ এড়ানো সুবিধা হবে। একটি আসনের গণনার জন্য অতিরিক্ত যতগুলি হলের দরকার পড়বে, সেভাবেই সহকারী রিটার্নিং অফিসারের সংখ্যা বাড়বে। এ বিষয়ে কমিশন ইতিমধ্যে বিহারের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে (সিইও) প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে। প্রয়োজনে পোস্টাল ব্যালট গোনার জন্য আলাদা হল ব্যবহার করা হবে। এক্ষেত্রে গণনা কেন্দ্রের জায়গা অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে পোস্টাল ব্যালট গোনার সময়ে নজরদারি থাকবে রিটার্নিং অফিসার বা সহকারি রিটার্নিং অফিসারের।
স্ট্রং রুম জীবাণুনাশ হবে। তবেই সেখানে প্রবেশ ঘটবে জনতার রায়বন্দি ইভিএমের। সেভাবে যেমন ইভিএম থেকে ভোট কর্মীর সুরক্ষা বিধি প্রাধান্য পাচ্ছে, তেমনভাবেই একে অপরের সঙ্গে গা ঘেঁষাঘেঁষি না করেও যাতে সিইউ-তে ভেসে ওঠা ভোটের সংখ্যা দেখতে পারেন প্রার্থীদের এজেন্টরা, তার বন্দোবস্তও করছে কমিশন। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সিইউ-এর ফল হলের মধ্যে বড় স্ক্রিনে দেখানো হবে। অবশ্যই অন্যবারের তুলনায় এবারের গণনা হলের আয়তনও বাড়ানো হয়েছে। যাতে অনেকটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে গোটা প্রক্রিয়া সারা যায়। শনিবারই বিহারে শেষ হয়েছে তিন দফার নির্বাচন।
তবে একটি বিধানসভা কেন্দ্রের গণনাতে একাধিক হল ব্যবহার হবে। তাই একটি কেন্দ্রের জন্য থাকা সব ক'টি হলের গণনা যুক্ত করেই ফল ঘোষণা হবে। সে ক্ষেত্রে ভোটের ফলপ্রকাশে সামান্য দেরির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছে না কমিশন।