National

আকাশসীমার সুরক্ষায় বড় সাফল্য, নির্ভুল আঘাত হানল বারাক-৮

প্রতিপক্ষের চিন্তা আরও বাড়িয়ে দূরপাল্লার ভূমি-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপন করল ভারত। ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশপথে আসা যে কোনও আক্রমণ রুখে দিতে সক্ষম। এমএফ-স্টার রাডারে বলীয়ান এই ক্ষেপণাস্ত্র কিছুটা স্বয়ংক্রিয় ভাবেই আঁচ পেয়ে যায় আকাশসীমার দিকে ধেয়ে আসা যে কোনও বিপদের।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২০:৩৪
Share:

ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র চিন্তা আরও বাড়াচ্ছে প্রতিপক্ষের।

প্রতিপক্ষের চিন্তা আরও বাড়িয়ে দূরপাল্লার ভূমি-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপন করল ভারত। ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশপথে আসা যে কোনও আক্রমণ রুখে দিতে সক্ষম। এমএফ-স্টার রাডারে বলীয়ান এই ক্ষেপণাস্ত্র কিছুটা স্বয়ংক্রিয় ভাবেই আঁচ পেয়ে যায় আকাশসীমার দিকে ধেয়ে আসা যে কোনও বিপদের। তার পর নির্ভুল আঘাত হেনে মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দেয় প্রতিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান বা ড্রোনকে।

Advertisement

মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে ওড়িশা উপকূলের নিকটবর্তী একটি টেস্ট রেঞ্জ থেকে দূরপাল্লার বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (ডিআরডিও) সূত্রে খবর, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎক্ষেপন সম্পূর্ণ সফল। মাঝ আকাশেই লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত আঘাত হেনেছে ক্ষেপণাস্ত্রটি। বারাক-৮-এর এটিই প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন নয়। ২০১৫ সালের শেষ দিকেও এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন সফল হয়েছিল। আইএনএস কলকাতা যুদ্ধজাহাজ থেকে সে বার ছোড়া হয়েছিল এই ক্ষেপণাস্ত্র।

বারাক-৮ শুধুমাত্র একটি ক্ষেপণাস্ত্র নয়। এটি একটি পুরোদস্তুর আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় রয়েছে মাল্টি ফাংশনাল সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড থ্রেট অ্যালার্ট রাডার বা এমএফ-স্টার। আকাশপথে কোনও হামলা হচ্ছে কি না, এই রাডার তা সহজেই ধরে ফেলে। তার পর স্বয়ংক্রিয় ভাবে ছুটে যায় ধেয়ে আসা বিপদের দিকে। মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দেয় প্রতিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমানকে। প্রথমে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ছিল ৭০ কিলোমিটার। কিন্তু পরে তা বাড়িয়ে ৯০ কিলোমিটার করা হয়েছে বলে বিশেষ সূত্রের খবর। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একটি অংশ বলছে, ৯০ কিলোমিটার নয়, বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়িয়ে ১০০ কিলোমিটার করা হয়েছে। ডিআরডিও অবশ্য সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: আশ্রয় চান বালুচ নেতা

এ দিন পরীক্ষার আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের আড়াই কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বসবাসকারী তিন হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়ে যান বালেশ্বর জেলা প্রশাসন। বালেশ্বর, ভদ্রক এবং কেন্দ্রাপাড়া জেলার মৎস্যজীবীদেরও পরীক্ষার সময়ে সমুদ্রে মাছধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement