সেনা, আধাসেনা, রাজ্য পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং স্থানীয় পুলিশ একসঙ্গে অভিযান চালিয়েছে। —প্রতীকী ছবি।
জঙ্গি বিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। উত্তর কাশ্মীরের লাডুরা এলাকায় সেনা, আধা-সেনা এবং পুলিশের সম্মিলিত অভিযানে খতম জইশ-ই-মহম্মদের অন্যতম শীর্ষ কম্যান্ডার খালিদ। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি এস পি বৈদ্য এ কথা জানিয়েছেন। এই অভিযানকে খুব বড় সাফল্য বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। গত কয়েক বছরে উত্তর কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি হামলায় জড়িত ছিল এই খালিদ, জানিয়েছেন ডিজি।
খালিদ পাকিস্তানের নাগরিক ছিল। দু-তিন বছর ধরে সে উত্তর কাশ্মীরে থাকছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানান গিয়েছে। নাশকতা চালানো শুধু নয়, কাশ্মীরি তরুণদের ফুঁসলে জঙ্গি সংগঠনে সামিল করার কাজও খালিদ নিরন্তর চালিয়ে যাচ্ছিল বলে পুলিশের দাবি। খালিদ ‘এ প্লাস প্লাস’ গোত্রের অর্থাৎ শীর্ষ স্তরের জঙ্গি ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার মাথার দাম ধার্য হয়েছিল প্রায় ৭ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন: কফিন নয়, কার্ডবোর্ডের বাক্সে মৃত সেনাদের দেহ, ত্রুটি মানল বাহিনী
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন, খালিদ লাডুরা এলাকায় রয়েছে বলে খবর পেয়েই সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং স্থানীয় পুলিশ এক সঙ্গে অভিযান চালায়। ঘিরে ফেলা হয় এলাকা। এর পরেই জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়। কোনও ভাবেই যাতে জঙ্গিরা পালাতে না পারে, তার জন্য অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয় লাডুরাতে। অবশেষে বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় খালিদের।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে পোস্টে বেঁধে মার নাইজেরীয় যুবককে, ভিডিও নিয়ে শোরগোল
সম্প্রতি হান্দওয়ারা এলাকায় এক স্পেশাল পুলিশ অফিসার এবং তাঁর ছেলের উপর হামলার পিছনে খালিদের হাত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শ্রীনগরে বিএসএফ সদর দফতরে এবং পুলওয়ামায় জেলা পুলিশ লাইনে হামলায় খালিদের হাত রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছিল।