সত্যপাল মালিক। —ফাইল চিত্র।
আগামী ৩১ অক্টোবর আলাদা আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। তার সপ্তাহখানেক আগেই জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে বদলি করল কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁকে গোয়ার নয়া রাজ্যপাল নিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় প্রস্তাবিত জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রথম উপরাজ্যপাল হচ্ছেন প্রাক্তন আইএএস অফিসার তথা কেন্দ্রীয় ব্যয় সচিব গিরীশচন্দ্র মুর্মু। অন্য দিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের প্রথম উপরাজ্যপাল হবেন প্রাক্তন আইএএস অফিসার রাধাকৃষ্ণ মাথুর।
এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ব্যয় সচিবের পদে রয়েছেন গিরীশচন্দ্র মুর্মু। ১৯৮৫ সালের গুজরাত ক্যাডারের আইএএস অফিসার তিনি। নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সেখানকার মুখ্যসচিব ছিলেন গিরীশ।
অন্য দিকে, রাধাকৃষ্ণ মাথুর ১৯৭৭ সালের ত্রিপুরা ক্যাডারের আইএএস অফিসার। ২০১৮-র নভেম্বরে মুখ্য তথ্য কমিশনারের পদ থেকে তিনি অবসর নেন।
আরও পড়ুন: মিথ্যা বলছে সরকার, কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্ফোরক মেহবুবা-কন্যা
গত ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ, দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হয়। তার পর প্রায় তিন মাস কাটতে চললেও এখনও অবরুদ্ধ গোটা উপত্যকা। বন্দি হয়ে রয়েছেন রাজ্যের বহু রাজনীতিক। সেই পরিস্থিতিতেই শুক্রবার রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
আরও পড়ুন: বিজেপি-কংগ্রেস কেউ অচ্ছুত নয়, ‘চাবি’ তাঁর হাতেই, জল্পনা জিইয়ে রেখে দাবি দুষ্মন্তের
এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সত্যপাল মালিক এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে গত মঙ্গলবারই সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন তিনি। রাজ্যপালের পদটিকে দুর্বল বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপাল পদটি অত্যন্ত দুর্বল। এক জন অতি দুর্বল পদাধিকারী ব্যক্তি, নিজে থেকে যাঁর সাংবাদিক বৈঠক ডাকার ক্ষমতাও নেই। ক্ষমতা নেই প্রকাশ্যে মুখ খোলার।’’