রাজনাথ সিংহ।—ছবি পিটিআই।
‘বেগানি শাদি মে আবদুল্লা দিওয়ানা’। বাংলা করলে হয়— যার সঙ্গে সম্পর্কই নেই, তার বিয়েতে নাচানাচি। কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সক্রিয়তাকে এই প্রবাদেরই খোঁচা দিলেন রাজনাথ সিংহ। লে-তে আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, কাশ্মীরে হস্তক্ষেপের অধিকারই নেই পাকিস্তানের। কাশ্মীর বরাবরই ভারতের অংশ। ‘বর্তমান বিষয়ে’ কোনও দেশ পাকিস্তানকে সমর্থন করছে না।
জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে আলাদা দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগের ঘোষণা হওয়ার পরে কোনও শীর্ষস্থানীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এটাই প্রথম লাদাখ সফর। আজ ডিআরডিও-র অনুষ্ঠানে নিজের বক্তৃতায় রাজনাথ বলেন, ‘‘পাকিস্তানকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, কাশ্মীর কবে আপনাদের ছিল যে, আপনারা সারা ক্ষণ কাশ্মীর নিয়ে কাঁদতে থাকেন? বরং ভারত থেকেই পাকিস্তানের জন্ম। আপনাদের অসন্তোষের কারণটা কী? কেন অকারণ কাঁদছেন? কান্না বন্ধ করুন।’’
রাজনাথের কথায়, ‘‘পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্কই চায় ভারত। কিন্তু তার আগে পাকিস্তানকে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।’’ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে ভারত তার অস্তিত্বকে সম্মান করে আসছে। তার মানে এই নয় যে, পাকিস্তান পরিকল্পিত ভাবে কাশ্মীর নিয়ে যা ইচ্ছে তাই বলবে। পাকিস্তানই বরং পাক-অধিকৃত কাশ্মীর এবং গিলগিট-বাল্টিস্তানে বেআইনি জবরদখল করে রেখেছে। তারা সেখানকার অত্যাচার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করার দিকে নজর দিক। স্থায়ী বাসিন্দাদের উদ্দেশে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস, লাদাখ কৌশলগত এলাকা। তার উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর। লাদাখে শুরু হওয়া ‘কিসান জওয়ান বিজ্ঞান মেলা’ সেই পথেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।