‘কাশ্মীর কেজড‌্’ বিতর্ক থাকলই

১৪ অগস্ট দিল্লি প্রেস ক্লাবে ওই ভিডিয়ো দেখানোর পরিকল্পনা ছিল ওই দলের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৯ ০৩:১৬
Share:

‘কাশ্মীর কেজড্‌’ নামে দশ মিনিটের ভিডিয়ো নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

দিল্লি প্রেস ক্লাবে ‘কাশ্মীর কেজড্‌’ নামে রিপোর্ট দেখাতে না দেওয়া নিয়ে বিতর্ক মিটল না। সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা কাশ্মীরের কিছু এলাকায় গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে সমাজকর্মী ও রাজনীতিকদের একটি দল। সেখানকার পরিস্থিতি তুলে ধরতে ‘কাশ্মীর কেজড্‌’ নামে একটি দশ মিনিটের ভিডিয়োও তুলেছিলেন ওই দলের সদস্যেরা।

Advertisement

১৪ অগস্ট দিল্লি প্রেস ক্লাবে ওই ভিডিয়ো দেখানোর পরিকল্পনা ছিল ওই দলের। কিন্তু অনুমতি মেলেনি বলে জানান দলের অন্যতম সদস্য অর্থনীতিবিদ জঁ দ্রেজ, সিপিএম নেত্রী কবিতা কৃষ্ণনেরা। তাঁরা দাবি করেন, প্রেস ক্লাব সরকারি ভাবে জানিয়েছে প্রোজেক্টর ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু ঘরোয়া ভাবে জানিয়েছে, তাদের উপরেও যথেষ্ট নজরদারি ও চাপ রয়েছে। তাই ছবি না দেখালেই ভাল। প্রেস ক্লাব অবশ্য জানায়, তারা কাউকে কিছু বারণ করেনি।

আজ আবার প্রেস ক্লাব জানায়, ১৪ অগস্ট ‘দিল্লি সলিডারিটি গ্রুপ’ ও ‘অল ইন্ডিয়া প্রগ্রেসিভ গ্রুপ’-এর সাংবাদিক বৈঠকের জন্য কনফারেন্স হল বুক করা হয়েছিল। মুখ্য অতিথি হিসেবে জঁ দ্রেজ-এর নাম উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সাংবাদিক বৈঠকে বাড়তি কোনও ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে বলে জানাননি উদ্যোক্তারা।

Advertisement

প্রেস ক্লাব জানিয়েছে, কনফারেন্স হলে ৬০ জনের বসার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু সাংবাদিক বৈঠকের সময়ে প্রায় ২৫০-৩০০ জন হাজির হন। ফলে উদ্যোক্তাদের লনে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করতে অনুরোধ করেন প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষ। লনে সাংবাদিক বৈঠক হলেও সেখানে ভিডিয়ো দেখানোর ব্যবস্থা ছিল না। প্রেস ক্লাব বলেছে, ‘‘উদ্যোক্তারা দাবি করেছেন প্রেস ক্লাব তাঁদের ভিডিয়ো দেখানোর অনুমতি দেননি। তাই বাধ্য হয়ে আমাদের এই বিবৃতি দিতে হয়েছে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জঁ দ্রেজকে কাদা ছোড়াছুড়িতে জড়াতে চাইনি বলেই আমরা প্রথমে বিতর্কে জড়াইনি।’’

এর পরে আবার বিবৃতি প্রকাশ করেন জঁ দ্রেজ-সহ ‘কাশ্মীর কেজড‌্’ রিপোর্টের চার লেখক। তাঁরা বলেন, ‘‘প্রেস ক্লাবে ভিডিয়ো দেখানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। শোনা যাচ্ছে, চাপের ফলেই এই সিদ্ধান্ত। আমাদের বিবাদ প্রেস ক্লাবের সঙ্গে নয়, ভারত সরকারের সঙ্গে।’’ ‘কাশ্মীর কেজড্’-এর লেখকদের মতে, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের হেনস্থার বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হবে। দ্রেজদের বক্তব্য, ‘‘পাকিস্তান ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। সতর্ক থাকা প্রয়োজন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement