ছবি: সংগৃহীত।
উপলক্ষ্য ছিল, প্রদেশ কংগ্রেস হিসাবে মোহন মারকামের হাতে সভাপতির ব্যাটন তুলে দেওয়া। তবে পুরোপুরি রাজনৈতিক সেই অনুষ্ঠানে আবেগে ভেসে গেলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। ছত্তীসগঢ় কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে বিদায়ী ভাষণ দিতে উঠে আর সামলাতে পারলেন না নিজেকে। দলীয় নেতাদের সামনে মঞ্চেই চোখে জল এসে গেল বাঘেলের।
শনিবার রাইপুরের এই গোটা ঘটনাটাই ধরে পড়েছে ভিডিয়োতে। তাতে দেখা গিয়েছে, ভাষণ দিতে গিয়ে রুদ্ধ হয়ে আসছে তাঁর কণ্ঠ। কয়েক মুহূর্ত থেমে থেকে মাথা নিচু করে খুলে ফেললেন চশমা। এর পর চোখের জল মুছলেন। তাতেও যেন আবেগের বাঁধ মানতে চাইছিল না। ফের এক বার চোখের জল মুছলেন তিনি। নেতাকে আবেগবিহ্বল হতে দেখে কংগ্রেসকর্মীরাও থেমে থাকেননি। দর্শকাসন থেকে ভূপেশ বাঘেল ও কংগ্রেসের নামে বার বার জয়ধ্বনি দিতে থাকেন তাঁরা।
বিদায়ী সভাপতি হিসাবে তাঁর ভাষণে ভূপেশ বাঘেল বলেন, ‘‘২০১৩-তে বিধানসভা ভোটে আমরা হেরে যাওয়ার পর রাহুল গাঁধীজি আমাকে এই পদে বসিয়েছিলেন। ২০১৪-র লোকসভার ভোট তখন প্রায় এসে পড়েছে। সেই ভোটে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা চিন্তিত ছিলাম। তবে ২০১৪-র জুনের পর থেকে ছত্তীসগঢ়ে ক্ষমতায় আসা পর্যন্ত দলের নেতারা লড়াই করে গিয়েছেন।’’
আরও পড়ুন: বৃক্ষরোপণে গিয়ে আক্রান্ত মহিলা আধিকারিক, ঘিরে ধরে বাঁশপেটা করল স্থানীয়রা, গ্রেফতার ১৬
২০১৪ সাল থেকে সভাপতি হিসাবে ছত্তীসগঢ় কংগ্রেসের দায়িত্ব সামলেছেন ভূপেশ বাঘেল। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে ব্যস্ত থাকায় রাজ্যে দলের ভার অন্য কারও হাতে তুলে দিতে রাহুল গাঁধীর কাছে অনুরোধ করেন তিনি। নতুন সভাপতি হিসাবে ঘোষিত হয় মোহন মারকামের নাম। শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে দলের ভার মারকামের হাতে তুলে দেন বাঘেল।
আরও পড়ুন: ছোট্ট ‘মোদী’কে নিয়ে ঝামেলায় মেহনাজ, এ বার নাম রাখতে চান আফতাব!
২০১৩-তে রাজ্যের তাবড় নেতাদের অনেকেই মাওবাদী হামলায় নিহত হন। ওই রাজ্যে কংগ্রেসের দায়িত্বভার পেয়ে দলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করান বাঘেল। গত বছর ছত্তীসগঢ়ে ১৫ বছরের বিজেপি শাসনের অবসান ঘটিয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসে কংগ্রেস। তবে গত সপ্তাহে রাহুল গাঁধীর কাছে তিনি নিজেই রাজ্যে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি চান।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।