শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। গান্ধীনগরে। পিটিআই
দ্বিতীয় বার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আজ শপথ নিলেন ভূপেন্দ্র পটেল। আজ গান্ধীনগরের হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে ভূপেন্দ্রের সঙ্গেই মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন ১৬ জন বিধায়ক। এ বারের গুজরাত মন্ত্রিসভায় সব থেকে বেশি প্রতিনিধিত্ব রয়েছে ওবিসি সমাজের। চার জন পাটিদার থাকলেও পাটিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেলকে মন্ত্রিত্ব না দেওয়ায় অনুগত মহলে ক্ষোভ চেপে রাখেননি তিনি।
আজকের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে গোটা বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ভিড় জমিয়েছিলেন গান্ধীনগরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ কার্যত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অধিকাংশ প্রতিনিধি যেমন উপস্থিত ছিলেন, তেমনি ছিলেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও।
আজ ভূপেন্দ্রের সঙ্গে যে ১৬ জন বিধায়ক শপথ নিয়েছেন, তার মধ্যে আট জন পূর্ণ মন্ত্রী, ছ’জন প্রতিমন্ত্রী ও দু’জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। নতুন মন্ত্রিসভায় মহিলা রয়েছেন কেবল এক জন। গত বারের মন্ত্রিসভা থেকে এখনও পর্যন্ত স্থান পেয়েছেন ৭ জন। রাজ্যের অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা ওবিসি সম্প্রদায়ের হওয়ায় মন্ত্রিসভাতে তার প্রতিফলন পড়েছে। আজ যে ১৭ জন শপথ নেন তার মধ্যে ৭ জন ওবিসি সম্প্রদায়ের। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাটিদার বা পটেলরা। গুজরাতে আর্থিক ও রাজনৈতিক ভাবে অন্যতম প্রভাবশালী জনগোষ্ঠী হলেন পাটিদারেরা। তাই মুখ্যমন্ত্রী-সমেত মোট ৪ জন পাটিদার বিধায়ক আজ শপথ নেন। এ ছাড়া দু’জন জনজাতি এবং ১ জন তফসিলি জাতিভুক্তকে মন্ত্রী করা হয়েছে। এক জন করে মন্ত্রী করা হয়েছে ব্রাহ্মণ, জৈন ও রাজপুত সমাজ থেকে।
এ বারের মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন জাতের সমীকরণ মেনে প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার পাশাপাশি যুব বিধায়কদের আরও বেশি করে জায়গা দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা ছিল বিজেপি শিবিরে। মন্ত্রিত্বের দৌড়ে নাম ছিল পাটিদার আন্দোলনের নেতা, পরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে জিতে আসা হার্দিক পটেলের। কিন্তু দিনের শেষে তাঁর নামে শিকে ছেঁড়েনি। ঘনিষ্ঠ মহলে এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন হার্দিক। এ বারের মন্ত্রিসভায় যুব নেতাদের মধ্যে স্থান পেয়েছেন হর্ষ সাংভি। অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ ওই জৈন নেতা গত মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী থাকলেও, এ বারে তিনি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। এ বারের ভোটে বিজেপির সব থেকে ভাল ফল হয়েছে সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে। তাই সেখান থেকে মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন ৫ জন। এ ছাড়া দক্ষিণ গুজরাত থেকে ৫ জন এবং উত্তর ও মধ্য গুজরাত থেকে ৩ জনকে মন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে।