প্রতীকী ছবি।
ছেলে বেকার, তাই চাকরি পাওয়ার আগে তার বিয়ে দিতে চাননি মা। আর সেই রাগেই ৬৭ বছরের মাকে খুন করে ফেলল ছেলে। মৃতার নাম আসমা ফারুখ। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে। অভিযুক্ত আব্দুল আহমেদ ফারহানকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় কোহ-ই-ফিজা থানার পুলিশ। গ্রেফতারির পর অভিযুক্তের দাবি, তাঁর মা এক জন ডাইনি। জাদুমন্ত্র করে তাঁর বিয়ে আটকে দেওয়ার জন্যও মাকে দুষেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাণিজ্য বিভাগের স্নাতক ফারহান বহু দিন চেষ্টাচরিত্র করেও কোনও চাকরি পাননি। কিন্তু কিছু দিন ধরেই তিনি বিয়ে করার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে উঠেছিলেন। এ বিষয়ে তিনি মায়ের কাছে অনুমতি চান। কিন্তু আসমা তাঁকে বলেন, “আগে চাকরি জুটিয়ে তবেই বিয়ের কথা চিন্তা কর।” এর পরই রাগে ক্রিকেট ব্যাট আর লোহার রড দিয়ে মাকে খুন করেন ফারহান।
ফারহান যখন মাকে খুন করেন, সে সময় বাড়িতে ছিলেন না তাঁর দাদা এবং বৌদি। তাঁরা বাড়িতে ফিরে এলে ফারহান জানান, ছাদ থেকে পড়ে মারা গিয়েছেন মা। কিন্তু ভাইয়ের কথা বিশ্বাস করতে না পেরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন দাদা। তারপর পুলিশ তদন্ত শুরু করলে ফারহানের নানা কার্যকলাপ নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ফারহান স্বীকার করেন, তিনিই মাকে খুন করেছেন।
এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ফারহান মোবাইল ফোনে ভূতপ্রেত সংক্রান্ত নানা ভিডিয়ো দেখতেন। সে সব দেখে তার বদ্ধমূল বিশ্বাস তৈরি হয়ে যায় যে, তাঁর মা-ও এক জন ডাইনি।