প্রতীকী ছবি।
পরিজনের কাছ থেকে এক যুবকের মৃতদেহ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ভীম আর্মির ১০ জন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রশাসনের অভিযোগ, মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করার উদ্দেশ্য ছিল ভীম আর্মির।
মাস আড়াই আগে কয়েকজন দুষ্কৃতী লাঠি আর লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে রাহুল নামে ২৬ বছরের এক যুবককে। গুরুতর আহত রাহুলের চিকিৎসা চলে হাসপাতালে ও বাড়িতে। গত কাল সঙ্গম বিহারে নিজের বাড়িতে মারা যান তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্রে করেই আসরে নেমে পড়েন ভীম আর্মির কর্মীরা। গাজ়িয়াবাদ (গ্রামীণ)এর পুলিশ সুপার ইরাজ রাজা জানিয়েছেন, গত কাল রাহুলের মৃত্যুর পরে তাঁর পরিবারের সদস্যেরা ইন্দ্রপুরী পুলিশ চৌকির সামনে মৃতদেহ নিয়ে ধর্নায় বসেন। তাঁদের দাবি ছিল, ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ ছাড়াও রাহুলের স্ত্রীকে সরকারি চাকরি এবং বিনা খরচে মৃতের ছেলের পড়াশোনার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। গত কাল রাজস্ব দফতরের এক আধিকারিক ধর্নাস্থলে গিয়ে মৃত যুবকের পরিজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন। পুলিশ সুপার জানান, ওই আমলার আশ্বাসে সন্তুষ্ট হয়ে রাহুলের পরিজন বিক্ষোভ-অবস্থান প্রত্যাহার করেন এবং মৃত যুবকের অন্ত্যেষ্টির তোড়জোড় শুরু করেন।
পুলিশ সুপারের বক্তব্য, ‘‘আত্মীয়স্বজনেরা যখন রাহুলের মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, সেই সময় ভীম আর্মির কিছু কর্মী গিয়ে মৃতদেহ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ গিয়ে হস্তক্ষেপ করে। এর পরেই পুলিশের সঙ্গে ভীম আর্মির কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এবং ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।’’ পুলিশ সুপারের অভিযোগ, ওই যুবকের মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছিল ভীম আর্মি। ১০ ভীম আর্মি কর্মীকে আদালতে তোলা হলে তাঁদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ১০ জনকে ডাসনা জেলে রাখা হয়েছে।
প্রশাসনের বক্তব্য, রাহুলের উপর হামলার অভিযোগে ইতিমধ্যেই অঙ্কিত, মনু এবং পুজন নাম তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রাহুলের মৃত্যুর পরে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে খুনে অভিযোগ মামলা হবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।