ছবি: প্রতিনিধিত্বমূলক।
কপালে তিলক কেটে স্কুলে গেছিল ছাত্র। সেজন্য তাকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিক্ষোভ দেখাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বিদ্যার্থী পরিষদ। তার পরেই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইলেন প্রধান শিক্ষক। রাজস্থানের ভিলওয়ারার এক স্কুলের ঘটনা।
ছাত্রের নাম কিষাণ মালি। সে স্কুলে তিলক পরে গেছিল। অভিযোগ সে কারণে মারধর করা হয়েছে তাকে। কিষাণ জানিয়েছে, স্কুলে তিলক পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তার পরেও সে তিলক কেটে গিয়েছিল। প্রধান শিক্ষক তাকে এই নিয়ে প্রশ্ন করলে সে মুখের উপর জবাব দেয়। কিষাণের কথায়, ‘‘প্রধান শিক্ষক আমার গালে পাঁচ থেকে ছ’বার চড় মারেন। টিফিন বিরতির পর তাঁর ঘরের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখেন।’’
কিষাণের বাবা দীপক জানিয়েছেন, কপালে তিলক পরার জন্য তাঁর ছেলেকে মারধর করা হয়েছে স্কুলে। এর পর স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে ছেলের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। দীপক পাল্টা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানান, তাঁর ছেলে কোনও অন্যায় করেনি। শুধু কপালে তিলক কেটেছে। ভবিষ্যতেও তাঁর ছেলে তিলক কেটে স্কুলে যেতে চায় বলে জানান দীপক। এর পরেই কর্তৃপক্ষ ছেলেকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁর উপর চাপ দিতে থাকেন।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিক্ষোভ দেখায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্য শুভম শর্মা জানিয়েছেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তবে তাঁদের হুঁশিয়ারি, ভবিষ্যতে এ রকম ঘটনা হলে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হবে।