কৃষকনেতা রাকেশ টিকায়েত। ফাইল চিত্র।
কৃষক আন্দোলনের অন্যতম মুখ ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (বিকেইউ)-এ বড়সড় ভাঙন। কৃষকনেতা রাকেশ টিকায়েতের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ ‘রাজনৈতিক দলঘেঁষা’ হওয়ার অভিযোগ তুলে সংগঠন থেকে সরে দাঁড়ালেন একধিক নেতা। রবিবার একটি পাল্টা সংগঠন গড়েছেন ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতারা। নতুন দলটি পুরোপুরি অরাজনৈতিক বলেও দাবি তাঁদের।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ২০২০-’২১ সালে কৃষক আন্দোলনের পুরোভাগে ছিল বিকেইউ। ঘটনাচক্রে, রবিবারই বিকেইউ-এর প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্র সিংহ টিকায়েতের মৃত্যুবার্ষিকী। কাকতালীয় ভাবে, সে দিনেই দু’ভাগ হয়ে গেল বিকেইউ। সংগঠনের মুখপাত্র রাকেশ এবং সভাপতি তথা রাকেশের ভাই নরেশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন বিকেইউ-এর সহ-সভাপতি রাজেশ চৌহান। তাঁর দাবি, অপমানিত হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। ‘বিক্ষুব্ধদের’ অভিযোগ, গত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ নিতে শুরু করেছিলেন টিকায়েত ভাইয়েরা। সে কারণেই তাঁরা ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (অরাজনৈতিক) নামে নতুন সংগঠন গঠন করেছেন। এতে রাজেশ চৌহান ছাড়াও রাজেন্দ্র সিংহ মালিক, অনিল তলন, হরনাম সিংহ বর্মা, বিন্দু কুমার, কুঁয়র পারমার সিংহ এবং নীতিন সিরোহির মতো নেতা যোগদান করেছেন বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।
যদিও এই বিভাজনে নরেন্দ্র মোদী সরকারের হাত দেখছেন রাকেশ টিকায়েত। তিনি বলেন, ‘‘এই সরকারই বিভাজনের পিছনে রয়েছে। আজ আমাদের কয়েক জন সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করছেন... আমাদের সংগঠনকে আবার শক্তিশালী করব।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘অতীতেও বহু নেতা আমাদের সংগঠন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশেই ৮-১০টা গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে।’’
টিকায়েত ভাইদের বিরুদ্ধে ‘রাজনীতি’ করার অভিযোগ তুলেছেন হরিয়ানার এক কৃষকনেতা গুরুনাম সিংহ চাঢুনি। তাঁর দাবি, ‘‘আমি তো শুনেছি, সংগঠনের অভ্যন্তরে রাজনীতি করা শুরু করে দিয়েছিলেন রাকেশ টিকায়েত।’’