পঞ্জাব সরকারের উপরে বিপুল দেনার বোঝা রয়েছে। তার উপরে এই ধরনের পেনশন খাতে অর্থ ব্যয় রাজকোষে বাড়তি চাপ তৈরি করে। এই অবস্থায় ভগবন্ত মানের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী কংগ্রেসের বিধায়ক সুখপাল সিংহ খৈরা।
ভগবন্ত মান।
রাজকোষের দিকে তাকিয়ে পঞ্জাবে প্রাক্তন বিধায়কদের পেনশনে বড় মাপের কাটছাঁট করলেন আম আদমি পার্টির নতুন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান।
এক ঘোষণায় তিনি জানান, এখন থেকে বিধায়কেরা একটি মেয়াদের জন্যই পেনশন পাবেন। উল্লেখ্য, পঞ্জাবে একটি মেয়াদের জন্য বিধায়ক হলে মাসে ৭৫,০০০ টাকা পেনশন পাওয়া যায়। পরবর্তী প্রত্যেকটি মেয়াদের জন্য যোগ হয় প্রথম বারের ৬৬% করে। এখন প্রায় ২৫০ জন প্রাক্তন বিধায়ক ওই পেনশন পান। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এ দিন টুইট করে জানিয়েছেন, কেউ এক বার বিধায়ক হোন কিংবা ১০ বার, পেনশন পাবেন একটি মেয়াদের জন্যই। তাঁর অভিযোগ, বহু বার নির্বাচনে জেতার সুবাদে কোনও কোনও রাজনীতিবিদ ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেনশন পাচ্ছেন।
প্রাক্তন বিধায়কদের পেনশনে কোপ প্রসঙ্গে মান বলেন, ‘‘ভোটের আগে নেতারা জনগণরে কাছে হাত ঝোর করে বলেন, আপনাদের সেবা করার একটা সুযোগ দিন। তার পর ভোটে জিতে বিধায়ক হন। অনেকেই দু’বার, তিন বার চার বার এমনকি পাঁচ-ছয় বার পর্যন্ত বিধায়ক হন। তার পর হেরে গেলে বা টিকিট না পেলে তাঁর দেখাও মেলে না। অথচ তিনি জনগণের করের টাকায় বিপুল পরিমাণে পেনশন পান।’’ তিনি জানান, এই ধরনের একেক জন বিধায়ক কেউ সাড়ে তিন লাখ, কেউ চার লাখ কেউ বা ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পেনশন পান। এর ফলে রাজকোষে বিপুল চাপ পড়ে।
কিছু দিন আগে শিরোমণি অকালি দলের শীর্ষ নেতা তথা ১১ বারের বিধায়ক প্রকাশ সিংহ বাদল জানিয়েছেন, তিনি প্রাক্তন বিধায়কের পেনশন নেবেন না। বিধানসভার স্পিকারকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ওই টাকা য়েন সামাজিক কোনও কাজে খরচ করা হয়।
পঞ্জাব সরকারের উপরে বিপুল দেনার বোঝা রয়েছে। তার উপরে এই ধরনের পেনশন খাতে অর্থ ব্যয় রাজকোষে বাড়তি চাপ তৈরি করে। এই অবস্থায় ভগবন্ত মানের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী কংগ্রেসের বিধায়ক সুখপাল সিংহ খৈরা।