AAP

Bhagwant Mann: মুখ্যমন্ত্রী নন, মান হবেন ‘কমন ম্যান’

ভাবনায় নিজেকে চণ্ডীগড়ের গদিতে বসিয়েই নিয়েছেন মান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

অমৃতসর শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২২ ০৬:০৬
Share:

সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভগবন্ত মান বলেন— মুখ্যমন্ত্রী নয়, সিএম এর অর্থ তাঁর কাছে ‘কমন ম্যান’ বা সাধারণ মানুষ।

বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষার আভাস সামনে আসার পরে পুরোপুরি ‘বল্লে বল্লে’ মেজাজে রয়েছেন ভগবন্ত মান, যাঁকে ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে নির্বাচনে লড়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)।

Advertisement

বৃহস্পতিবার অন্য চার রাজ্যের সঙ্গে ভোটগণনা পঞ্জাবেও। তার আগের দিন একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভগবন্ত মান বলেন— মুখ্যমন্ত্রী নয়, সিএম এর অর্থ তাঁর কাছে ‘কমন ম্যান’ বা সাধারণ মানুষ। গদিতে বসলেও নিজেকে এক বারের জন্যও সাধারণ মানুষের বাইরে তিনি অন্য কিছু ভাববেন না। তিনি হবেন সব মানুষের মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক বৈষম্যের চিন্তা মাথায় আসতেই দেবেন না।

অর্থাৎ ভাবনায় নিজেকে চণ্ডীগড়ের গদিতে বসিয়েই নিয়েছেন মান। হাত নেড়ে নেড়ে তিনি যে সব কথা বলছেন, তার সবই মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কী ভাবে কী করবেন, সেই সবই। সব বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফলকে ভুল প্রমাণ করে একটা সময়ে দিল্লিতে সরকার গড়েছিলেন তাঁর দলের নেতা কেজরিওয়াল। কিন্তু ভগবন্ত মান এক রকম মেনেই নিয়েছেন, বুথ ফেরত সমীক্ষা মিলছেই এবং পঞ্জাবে তিনিই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন। বলছেন, “পুরনো পঞ্জাবকে ফেরত চান রাজ্যের মানুষ। আমার স্বপ্ন তাই পুরনো পঞ্জাবকে ফিরিয়ে আনা। পঞ্জাবকে আমি প্যারিস, লন্ডন বা ক্যালিফর্নিয়া বানানোর কথা একেবারেই ভাবি না। পুরনো সেই পঞ্জাবকে ফিরিয়ে দ‌েব আমি, সেই পঞ্জাব স্বপ্নভূমি।”

Advertisement

ইউরোপে রাশিয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রাক্তন কৌতূকশিল্পী ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি। আপ কাল ভোটে জয়ী হতে পারলে পঞ্জাবের কুর্সি যাঁর দখলে আসবে, সেই ভগবন্ত মানেরও জনপ্রিয়তা অর্জন মঞ্চের কৌতূকশিল্পী হিসেবেই। তার পরেও তাঁর কথাবার্তা, জীবানধারণ সব কিছুই বারে বারে বিতর্ক তৈরি করেছে। অতিরিক্ত মদ্যপান এবং তার পরে প্রকাশ্যে অসংবৃত আচরণের ঘটনা বার বার ঘটিয়েছেন মান। সংসদ ভবনেও মত্ত অবস্থায় হাজির হওয়ায় শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। সঙ্গে বেলাগাম মন্তব্য। এ দিন মান বলছেন, তাঁর প্রধান চ্যালেঞ্জ সমৃদ্ধ পঞ্জাবকে মাফিয়া মুক্ত করা। তাঁর কথায়, “বালি মাফিয়া, মাটি মাফিয়া, জমি মাফিয়া, কেবল মাফিয়া, ট্রান্সপোর্ট মাফিয়া, এক্সাইজ় মাফিয়া... আগের আগের শাসকদের কল্যাণে মাফিয়ায় ভরে গিয়েছে পঞ্জাব। তারা রাজ্যটার কিচ্ছু বাকি রাখেনি।”

বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রে বোতলবন্দি জনমতের দত্যিটা বেরিয়ে এসে মানের পাশে দাঁড়ায় কি না, সেটা জানা যাবে আর কয়েকটা ঘণ্টা পরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement