বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। ফাইল চিত্র।
ভারতে নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে কোভিড সংক্রমণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ দেখা দিয়েছে ভারতে। দেশের কয়েকটি রাজ্যে পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। তার মধ্যে একটি যদি হয় মহারাষ্ট্র, তবে অন্যটি কর্নাটক। কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর অবস্থা সব থেকে খারাপ। এক দিনেই সেখানে ২ হাজারের বেশি আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফের পূর্ণ সময়ের লকডাউনের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর বলেন, ‘‘কর্নাটকে আক্রান্ত দ্রুত বাড়ছে। মার্চের শুরুতে যে সংক্রমণ হচ্ছিল, গত ৩০ দিনে তা প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে। ১, ২ ও ৩ মার্চ কর্নাটকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০০। কিন্তু মার্চের শেষে তা প্রায় ৩০০০। এটা খুবই কঠিন পরিস্থিতি। আমাদের বিধিনিষেধ আরও বাড়াতে হবে।’’
এক সপ্তাহ আগেই দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর জয়নগর জেনারেল হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য অক্সিজেনের সুবিধাযুক্ত ৫০টি শয্যা ছিল। সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০ করা হয়েছে। এই শয্যার ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশই ভর্তি হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
সংক্রমণ বাড়ায় তা হলে কি ফের লকডাউনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কর্নাটকে? তার জবাবে সুধাকর বলেন, ‘‘আমি মনে করি, এখনও লকডাউন করার মতো পরিস্থিতি আসেনি। কিন্তু আমাদের কিছু বিষয় অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক কারণে কোনও জমায়েত করা থেকে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। কারণ, এটাই একমাত্র উপায়। এই উপায় ঠিক ভাবে কার্যকর না হলে অন্য কথা ভাবতে হবে।’’
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন আক্রান্ত ৬৮ হাজার ২০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ২০ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬৪৪ জন। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৯১ জনের। মোট ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৪৩ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস। দেশে মৃত্যুর হার ১.৩৪ শতাংশ। আক্রান্ত বৃদ্ধির জেরে বেড়েছে সংক্রমণের হারও। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৭.৪৫ শতাংশ।
দৈনিক আক্রান্ত বৃদ্ধির জেরে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা প্রতি দিন বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩৫ হাজার বেড়েছে। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হল ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৮০৮ জন। ১০ নভেম্বর শেষ বারের জন্য সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষের বেশি ছিল। তার পর থেকে তা কমেছিল। সোমবার আবার তা ৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে।