বেঙ্গালুরুর নেটিগেরে গ্রামে প্রদীপকে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রতীকী ছবি।
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বিধায়ক-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে হয়রানি অভিযোগ এনে আত্মহত্যা করলেন এক ৪৭ বছর বয়সি ব্যক্তি। রবিবার বেঙ্গালুরুতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের নাম এস প্রদীপ। বেঙ্গালুরুর নেটিগেরে গ্রামে প্রদীপকে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর গাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে এবং তাতে বিজেপি বিধায়ক-সহ ছ’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশে সূত্রে খবর, প্রদীপ চিঠিতে লিখে গিয়েছেন, ২০১৮ সালে গোপী এবং সোমিয়াহা নামে দু’জনের প্ররোচনায় পা দিয়ে তিনি একটি পানশালায় ১.২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। তাঁরা প্রদীপকে ওই পানশালায় কাজ করার কথাও বলেন। প্রদীপকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তাঁকে প্রতি মাসে বেতন ছাড়াও ৩ লক্ষ টাকা করে ফেরত দেওয়া হবে।
তবে, টাকা নেওয়ার পর ওই দুই ব্যক্তি বেশ কয়েক মাস ধরে প্রদীপকে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। তিনি যে টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন তা তিনি ঋণ নিয়েছিলেন। আর ঋণ শোধ করতে তাঁকে বাড়ি এবং জমি বিক্রি করতে হয়েছিল বলেও চিঠিতে লিখে গিয়েছেন প্রদীপ।
অনেক অনুরোধ করেও টাকা ফেরত না পাওয়ায় প্রদীপ বিষয়টি নিয়ে বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভালির কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। উল্টে অরবিন্দ ওই দুই ব্যক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁকে নির্যাতন করেন বলে চিঠিতে লেখা রয়েছে।
চিঠিতে জয়রাম রেড্ডি নামে এক চিকিৎসকের নামও উল্লেখ রয়েছে। জয়রামের বিরুদ্ধেও সম্পত্তি নিয়ে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন প্রদীপ। এ ছাড়াও চিঠিতে আরও দু’জনের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।