প্রতীকী ছবি।
রাতারাতি বদলে গেল বেঙ্গালুরু আবহাওয়া। ২৪ ঘণ্টায় এক ধাক্কায় ১১ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে এখন দক্ষিণ ভারতের শহর বেঙ্গালুরু উত্তরের শিমলার চেয়েও বেশি শীতল।
বৃহস্পতিবার কর্নাটকের রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নেমে এসেছে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সর্বনিম্ন সাড়ে ১৯ ডিগ্রি। মে মাসের গরমে বেঙ্গালুরুতে এতটা ঠান্ডা পড়েছিল ঠিক ৫০ বছর আগে। পুরনো রেকর্ড ঘেঁটে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ১৯৭২ সালের ১৪ মে ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল বেঙ্গালুরুর।
বেঙ্গালুরুর এই আচমকা তাপমাত্রা বদল নিয়ে নেট মাধ্যমে একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে। মোবাইলে কোনও আবহাওয়ার অ্যাপে যে ভাবে তাপমাত্রা দেখা যায় সে ভাবে এক সঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে দেশের চারটি শহরের তাপমাত্রা— নয়াদিল্লি, শিমলা, মুসৌরি এবং বেঙ্গালুরুর। উত্তরাখণ্ডের মুসৌরির সঙ্গে বেঙ্গালুরুর তাপমাত্রার ২ ডিগ্রি তফাৎ এবং হিমাচলপ্রদেশের শিমলার থেকে ১ ডিগ্রি কম হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়েছে তাতে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন এমনই থাকবে বেঙ্গালুরুর তাপমাত্রা। কর্নাটকের রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই। কিন্তু হঠাৎ কেন এই বদল? আবহবিদরা জানাচ্ছেন, এর একটা কারণ ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ হতে পারে। তাঁদের মতে, ‘অশনি’র জন্য ঠাণ্ডা হাওয়া ঢুকতে শুরু করেছে শহরে। প্রবেশ করেছে নীচুস্তরে থাকা বৃষ্টির সম্ভাবনাময় প্রচুর মেঘও। এ সবের জেরেই আরও শীতল হয়েছে বেঙ্গালুরু।
তবে কারণ যা-ই হোক বেঙ্গালুরুর এই আচমকা শীতল আবহাওয়ায় উৎসাহিত হয়ে পড়েছেন দেশের মানুষ। নেট মাধ্যমে তাঁরা বলাবলি করতে শুরু করেছেন, এরপর মুসৌরি শিমলা ছেড়ে তাঁরা গরমে বেঙ্গালুরুতেই যাবেন। মে মাসের চড়া গরমে কর্নাটকের এই রাজধানীই হবে তাঁদের পছন্দের ‘হিল স্টেশন’।