বাঙালির সঙ্গে বারাণসীর সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। কয়েক পুরুষ ধরে সেখানে জাঁকিয়ে বসবাস করছে এমন বাঙালি খুব একটা বিরল নয় কাশীতে। তাদের প্রভাব এবং প্রতিপত্তি কোনও অংশেই অন্যদের থেকে কম নয়। এ যেন বাঙালির আপন ভূমি। ঘুরতে গিয়েও বাঙালি বারাণসীকে কখনও প্রবাস হিসেবে দেখেনি। তো সেই বারাণসীর জনপ্রতিনিধি বাঙালি হবে না, তা হয় নাকি!
এক বার দু’বার নয়, বারাণসী দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে মোট সাত বার বিধায়ক হিসাবে জিতেছেন শ্যামদেব রায়চৌধুরী। বারাণসীর কাছে তিনি ‘শ্যামদেও’। গত ২০১২তেও শ্যামদেও বিজেপি-র প্রার্থী হয়ে ৫৭ হাজার ৭৭৩ ভোট পেয়ে জিতেছেন ওই কেন্দ্র থেকে। কিন্তু, এ বার আর তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। তাই নিয়ে বাঙালি মহল্লা বেজায় অখুশি। দলের বিরুদ্ধে তোপ না দেগেও, হাবেভাবে শ্যামদেবও তাঁর অসন্তোষ প্রকাশ করে ফেলছেন।
তবে কি বিজেপি-র হার হবে ওই কেন্দ্রে?
দেখুন ভিডিও
মোদীর বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্র আছে। রোহানিয়া, সেবাপুরী, বারাণসী ক্যান্ট, বারাণসী উত্তর এবং বারাণসী দক্ষিণ। বাঙালিদের একটা বড় অংশের মতে, শুধু শ্যামদেওর পুরনো কেন্দ্রেই নয়, বাকি চারটি আসনেও বিজেপি-র শিরে সংক্রান্তি অবস্থা।
অথচ, গত লোকসভা নির্বাচনে এই পাঁচটি বিধানসভাই নরেন্দ্র মোদীকে এগিয়ে রেখেছিল। সেই হাওয়া এখন আর নেই বলেই জানাচ্ছেন বাঙালিদের একাংশ। কেন নেই? কারণ হিসাবে উঠে আসছে সেই নোট বাতিলের তত্ত্ব। পাশাপাশি রয়েছে অযোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের অভিযোগ। সাত দফা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে শনিবার। এখনও ছয়টি দফা বাকি। কিন্তু, বারাণসীতে ভোটের কোনও আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে না। ফেস্টুন-ব্যানার-পোস্টার চোখে পড়ছে হাতেগোনা। তবে কি, প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় একটু মুষড়েই পড়েছে বাঙালি সমাজ?
জবাব জানা যাবে আগামী ১১ মার্চ। ওই দিনই তো ফল প্রকাশ হবে।