হরিদ্বারে নিখোঁজ বালির বাঙালি বৃদ্ধ

হরিদ্বারের মন্দিরে সন্ধ্যারতি দেখে হোটেলেই ফিরে এসেছিলেন সত্তর বছরের বৃদ্ধ। কিন্তু স্ত্রী ও বৌমা মিলে কেনাকেটা করতে বেরোনোর কিছু পরেই দাড়ি কাটতে যাচ্ছি বলে হোটেল থেকে বেরিয়ে যান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কললকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৭ ০৩:১০
Share:

হরিদ্বারের মন্দিরে সন্ধ্যারতি দেখে হোটেলেই ফিরে এসেছিলেন সত্তর বছরের বৃদ্ধ। কিন্তু স্ত্রী ও বৌমা মিলে কেনাকেটা করতে বেরোনোর কিছু পরেই দাড়ি কাটতে যাচ্ছি বলে হোটেল থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তার পর সারা রাত ধরে হরিদ্বারের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও প্রাক্তন ফুটবল কোচের কোনও সন্ধান মিলল না। এ বিষয়ে কোতয়ালি থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়েছে।

Advertisement

রবিবার রাতে এ ভাবেই হরিদ্বারে নিখোঁজ হলেন বালির পি এন ঘোষ রোডের বাসিন্দা যতীন্দ্রনাথ দাস। তিনি জর্জ টেলিগ্রাফের প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ। হাওড়ার সাংসদ প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর ছাত্র। গত ২২ মার্চ স্থানীয় একটি ভ্রমণ সংস্থার সঙ্গে স্ত্রী নীলিমা দাস, বৌমা মণিদীপা দাস-সহ আরও দু’জনকে নিয়ে উত্তর ভারত ঘুরতে বেরিয়েছিলেন যতীন্দ্রনাথবাবু।

রবিবার হরিদ্বার পৌঁছে সন্ধ্যায় মন্দিরে ঘুরে সকলে হোটেলে ফিরে আসেন। নীলিমাদেবী জানান, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তাঁরা মন্দিরের সামনের বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য হোটেলেই থেকে গিয়েছিলেন যতীন্দ্রনাথবাবু। রাত ১০টা নাগাদ সকলে ফিরে এসে জানতে পারেন পৌনে ৯টা নাগাদ বেরিয়ে যান ওই বৃদ্ধ। এর পরে আর ফেরেননি। রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। হরিদ্বার পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ শুরু করেছে।

Advertisement

এ দিকে বাড়িতে খবর পৌঁছতেই যতীন্দ্রনাথবাবুর ছেলে অনুপবাবু বালি ক্লাব সমন্বয় সমিতির সভাপতি ভাস্করগোপাল চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর পরে ভাস্করবাবু বিষয়টি জানান সাংসদ প্রসূণবাবুকে। তিনি হরিদ্বারের পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ভাস্করবাবু বলেন, ‘‘ওঁর ছেলে হরিদ্বার রওনা হয়ে গিয়েছেন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement