রাঘব যখন রাঁধুনি। ফাইল চিত্র
তিনি রাঁধেন। মামলাও করেন।
নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বিপাকে ফেলতে আসরে নেমেছেন মনমোহন সিংহের দৌহিত্র রাঘব টাঙ্খা। রাজনীতির মাঠে নয়। আদালতের চৌহদ্দিতে।
মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধার নম্বর জোড়ার বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, তিনি এই নির্দেশ মানবেন না। তাতে যদি মোবাইল সংযোগ কেটে যায়, যাবে। ঠিক এই আপত্তি তুলেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা ঠুকেছেন রাঘব। তাঁর অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ভুল ব্যাখ্যা করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রক এই নির্দেশ জারি করেছে। মোবাইল সংস্থাগুলি অবিলম্বে ফোন করার পরে, এসএমএস পাঠিয়ে আধার-মোবাইল জোড়ার কথা বলা বন্ধ করুক। রাঘবের এই মামলার ভিত্তিতে শীর্ষ আদালত টেলিযোগাযোগ মন্ত্রকের জবাব চাওয়ায় সঞ্চার ভবনে এখন তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মজা দেখছেন কংগ্রেসের নেতারা।
রাঘবের মা মনমোহন-কন্যা উপেন্দ্র সিংহ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান। বাবা বিজয় টাঙ্খা সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের দর্শন বিভাগের প্রধান। মনমোহন যখন প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসেন, তখন রাঘবের বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। এখন তিনি পেশায় আইনজীবী। কপিল সিব্বলের সহযোগী। কিন্তু এর বাইরে রান্নাবান্নারও দারুণ শখ। লেখেন ব্লগও।
বছর দুই আগে কয়লা খনি বণ্টন দুর্নীতিতে মনমোহনকে সশরীর হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই আদালত। রেহাই পেতে মনমোহন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সে দিন তাঁর হয়ে সওয়াল করেছিলেন সিব্বল। রাঘব তখন ছিলেন ভিজিটর্স গ্যালারিতে, মা উপেন্দ্র, মাসি দমনের পাশে। গত সোমবার যখন তাঁর হয়ে সিব্বল সওয়াল করেছেন, তখন রাঘব আর ভিজিটর্স গ্যালারিতে নন। শামলা গায়ে সিব্বলের ঠিক পিছনেই।
রাঘব কি ভবিষ্যতে রাজনীতিতেও আসবেন? রাঘব নিজে কিছু না বললেও কংগ্রেস নেতারা সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে নারাজ।