ফাইল ছবি
মোদী সরকারের আট বছর পূর্তি উপলক্ষে সারা দেশের মতো বাংলায় কর্মসূচি নিচ্ছে বিজেপি। সেই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে সোমবার বৈঠকে বসেন মুরলীধর সেন লেনের নেতারা। সম্প্রতি তৃতীয় তৃণমূল সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে উৎসবের আয়োজন করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছিলেন। পাশাপাশি বাংলায় যে সামাজিক প্রকল্পগুলি চলছে, তার সাফল্য ব্যাখ্যা করেছিলেন। এ বার তার পাল্টা কর্মসূচিতে মোদী সরকারের সাফল্যকে হাতিয়ার করবে রাজ্য বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘সারা দেশেই কর্মসূচি হবে। পশ্চিমবঙ্গেও হবে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তন ও সেই প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে মানুষকে সচেতন করা হবে।”
রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বঙ্গ সফরে এসে স্পষ্ট বার্তা দেন, দিল্লির দিকে তাকিয়ে বসে থাকলে চলবে না। রাজ্যে বুথ স্তর পর্যন্ত দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। রাস্তার আন্দোলনকে শক্তিশালী করেই ক্ষমতা দখল করতে হবে। কিন্তু শাহি-বার্তার পরেও লড়াই-আন্দোলনের পরিকল্পনা নিয়ে কোনও বৈঠকই রাজ্য বিজেপির নেতারা করেননি। দলের এ দিনের বৈঠক জুড়ে শুধুই ছিল মোদী সরকারের আট বছর পূর্তির উদ্যাপন পরিকল্পনা। যদিও এই বৈঠকের বিষয়ে কেউই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আগামী দিনের কর্মসূচির পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যেই বৈঠক হয়েছে।’’ আর এক সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পালের বক্তব্য, ‘‘মোদী সরকারের আট বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজ্য জুড়ে তা উদ্যাপনের পরিকল্পনা হয়েছে। একটি উৎসব কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
কথায় কথায় রাজ্য বিজেপির নেতারা যে ভাবে সন্ত্রাস, গণতন্ত্রের হত্যা নিয়ে সরব হন, সেই আবহে উৎসব কতটা মানানসই, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে দলেই। ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রতিবাদে প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে কলকাতার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেছিলেন, ‘‘কবে মোদী হাওয়া উঠবে, সেই আশায় বসে থাকলে চলবে না।’’ তিনি এ দিন বলেন, ‘‘আমি যদিও এখনও এই বিষয়ে সবটা জানি না। তবু বলব, একটা দলকে সরকারে আসতে হয় তার সাংগঠনিক শক্তির উপরে নির্ভর করে।” যদিও রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিজেপি সর্বভারতীয় দল। তাই রাজ্যের নিজস্ব কর্মসূচির পাশাপাশি দেশব্যাপী এই কর্মসূচিও হবে।’’