Maharashtra

১৬২ নয়, উদ্ধবে আস্থা আরও ৮ বিধায়কের! রহস্য উস্কে দিলেন সঞ্জয় রাউত

তবে, সঞ্জয়ের আগে আরও এক জন এই দাবি করেছিলেন। তিনি অজিত পওয়ার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:৪২
Share:

সঞ্জয় রাউত। —ফাইল চিত্র।

বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষার আগে ফের বড় ঘোষণা মহারাষ্ট্রের ‘সেনা বিকাশ আগাড়ি ’ জোটের। ১৬২ বা ১৬৫ নয়, আস্থাভোটে ১৭০-এরও বেশি বিধায়ক তাদের সমর্থন জানাতে তৈরি বলে দাবি করা হল। শনিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থাভোট। তার আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে এই দাবি করলেন শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত

Advertisement

এ দিন সকালে শিবসেনার মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আজ আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠাতরই দিন। ১৭০-এর বেশি বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। আমাদের হারানোর কেউ নেই।’’

তবে, সঞ্জয়ের আগে আরও এক জন এই দাবি করেছিলেন। তিনি অজিত পওয়ার। এ দিনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ প্রসঙ্গে তিনি শুক্রবার বলেছিলেন, ‘‘প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সংখ্যা রয়েছে আমাদের কাছে। প্রায় ১৭০ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে আমাদের সঙ্গে।’’ যদিও এ দিন সকালে আস্থাভোটের কয়েক ঘণ্টা আগেই মহারাষ্ট্রের নান্দেড় কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ প্রতাপরাও চিখালিয়ারের সঙ্গে দেখা করে নতুন বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন অজিত।

Advertisement

আরও পড়ুন: উদ্ধবের শক্তিপরীক্ষার আগে বিজেপি সাংসদের সঙ্গে দেখা করলেন অজিত পওয়ার, জল্পনা তুঙ্গে​

আরও পড়ুন: তেলঙ্গানায় তরুণী চিকিত্সকের দগ্ধ দেহের কাছেই মিলল আরও এক মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ​

এর আগে, অজিত পওয়ারের হাত ধরে রাতারাতি সরকার গঠনের সময় তাদের সঙ্গে ১৭০ জনের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করেছিল বিজেপি। কিন্তু উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার ৮০ ঘণ্টার মধ্যেই সরকার থেকে ইস্তফা দেন অজিত পওয়ার। তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সংখ্যার অভাবে সরকার ভেঙে দিতে বাধ্য হয় বিজেপি। তার পরেই তিন দলের বৈঠকে ১৬২ জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের শক্তি প্রদশর্ন করে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। এখন সেই জোটই আবার ১৭০ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করছে।

তা হলে কি বিজেপি থেকে এ বার বিধায়ক ভাঙানোর খেলায় নেমেছে উদ্ধব নেতৃত্বাধীন জোট? এ প্রশ্ন যখন উঠছে, তখন তাতে জল না ঢেলে তা বরং উস্কেই দিয়েছেন এনসিপি-র মুখপাত্র নবাব মালিকই। জোট সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তোলা বিজেপিকে একহাত নিয়ে এ দিন তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি নিশ্চয়ই জানে, এর আগে কংগ্রেস এবং এনসিপি থেকে বহু লোক ওদের দলে গিয়েছেন। তাঁদের অনেকেই কিন্তু এখন ফিরে আসতে চাইছেন। আমরাও যদি দল ভাঙানোর খেলায় নামি, তা হলে ওরা কিন্তু শেষ হয়ে যাবে!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement