প্রতীকী ছবি।
জেলবন্দি থাকাকালীন নিজের বন্ধুর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন স্ত্রী। এই সন্দেহের বশে স্ত্রীকে গুলি করে খুন করলেন উত্তরপ্রদেশের বরেলীর এক ব্যক্তি। শনিবার ওই বন্ধুকে লক্ষ্য করেও তিনি গুলি চালান বলে অভিযোগ। তবে প্রাণরক্ষা হলেও গুরুতর জখম যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খুন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগে বরেলীর ওই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিন পনেরো আগে ৪০ বছরের কৃষ্ণপাল লোধির জামিন দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী পূজা লোধি। অভিযোগ, জেল থেকে বাইরে বেরোনোর দু’সপ্তাহ পর শনিবার সন্ধ্যায় পূজাকে গুলি করে খুন করেন কৃষ্ণপাল। ৩২ বছরের ওই বধূর এক বন্ধুর উপরেও হামলা চালান তিনি। কোনও মতে রক্ষা পেয়েছেন ওই যুবক। পূজার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ধৃত কৃষ্ণপাল জেরার সময় নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে দাবি এক শীর্ষ পুলিশকর্তার। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, জেরা চলাকালীন অভিযুক্ত বলেন, ‘‘ওর (স্ত্রী পূজার) মরে যাওয়াই উচিত। তাই ওকে মেরেছি। এ নিয়ে আমার কোনও আফসোস নেই।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১২ সালে বাড়ির লোকজনের অমতে আদালতে বিয়ে করেছিলেন বরেলীর পশ্চিম ফতেগড় এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণপাল এবং পূজা। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগে জেলেও ছিলেন কৃষ্ণপাল। সম্প্রতি তাঁকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল।
পূজার মা শীলা দেবীর দাবি, ‘‘নেশা করে প্রতি দিন আমার মেয়েকে মারধর করতেন জামাই কৃষ্ণপাল। শনিবার সন্ধ্যায়ও মত্ত হয়ে ঘরে ফিরেছিলেন। নাবালক সন্তানদের সামনেই মেয়েকে গালিগালাজ করছিলেন। বাধা দিলে রেগেমেগে পূজার দিকে পিস্তল তাক করেন। ভয় পেয়ে বাড়ির বাইরে পালানোর চেষ্টা করলেও মেয়েকে ধরে ফেলে গুলি চালান।’’ এই বয়ান খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বরেলীর পুলিশ সুপার রাহুল ভাটি বলেন, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ৩০৭ ধারায় যথাক্রমে স্ত্রীকে খুন এবং বন্ধুকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছেন।’’