বাগান শ্রমিকদের মজুরি মেটানোর দাবিতে অনশনে বসে পরে তা তুলে নিয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক কনলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। জেলার বাগান শ্রমিকদের একাংশ নগদে টাকা পেতেও শুরু করেছেন। কিন্তু তারপরও ভবিষ্যতে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা নিয়ে দস্তুর মতো চিন্তিত ব্যাঙ্ক সহায়করা। কারণ নতুন নতুন সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁদের।
বাগানে বাগানে গিয়ে শ্রমিকদের আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) মিলিয়ে টাকা দেওয়ার কথা তাঁদের। কিন্তু তাতেও সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন সহায়ক বলেন, শ্রমিকদের অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছু বাগানে একই নাম এবং একই পদবির বেশ কয়েকজন শ্রমিক রয়েছেন। ফলে অনেক সময়েই নাম অনুযায়ী শ্রমিকের আঙুলের ছাপ মিলছে না। তাই টাকা দিতে গিয়ে ঝামেলা হচ্ছে।
এ ছাড়া, বাগান শ্রমিকরা চায়ের পাতা তোলেন বলে আঙুলের চিহ্নও পরিবর্তন হতে থাকে। যখনই আঙুলের ছাপ বায়োমেট্রিক মেশিনে দেওয়া হয় তখন অনেক ক্ষেত্রে পুরনো ছাপের সঙ্গে মিল থাকছে না নতুন ছাপের। অথচ আঙুলের ছাপ না মিললে টাকা দিতে পারছে না সহায়করা। তাই শ্রমিকদের টাকা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ব্যাঙ্কের সহায়কদের। এ ধরনের বাস্তব সমস্যা কী ভাবে মিটবে তা ভেবেও কূলকিনারা পাচ্ছেন না ব্যাঙ্কের কর্তারা।