নতুন অভিযোগ আনলেন জয়বীর শেরগিল।
বিরোধীদের কথায় ‘ছোটো মোদী’ (নীরব মোদী), ‘প্রধানমন্ত্রীর মেহুলভাই’ (মেহুল চোক্সী)-এর পর ব্যাঙ্কের টাকা ‘লুঠ’ করে উধাও হওয়ার আর একটি মামলা সামনে এনেছে কংগ্রেস।
উদয় জয়ন্ত দেশাই ও সুনীল লাল চাঁদ বর্মার তৈরি ‘ফ্রস্ট ইন্টারন্যাশানাল লিমিটেড’ সংস্থায় হানা দেয় সিবিআই। ১৯৯৫ সালে তৈরি সংস্থাটি কৃষিজ পণ্য, খনিজ ও নানা ধাতব সামগ্রীর ব্যবসা করে। চিন, বাংলাদেশ, আমেরিকার মতো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করত। কংগ্রেসের অভিযোগ, সরকারি ব্যাঙ্ক-সহ মোট ১৪টি ব্যাঙ্কের প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা প্রতারণা করেছে এই সংস্থা। ‘ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া’ ২০১৮ থেকেই সব জানত। পরিচালকদের বিরুদ্ধে ‘লুক আউট’ নোটিস জারির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককেও জানানো হয়। কিন্তু প্রতিটি ধাপে গড়িমসি করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
কংগ্রেস মুখপাত্র জয়বীর শেরগিলের অভিযোগ, ‘‘জোড়া কৌশলে অর্থনীতিকে নষ্ট করছে মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সব ঠিক আছে। কিন্তু আমজনতার কোটি কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টই বলছে, মোদী জমানায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণা হয়েছে। আর দ্বিতীয় কৌশল হল, অনাদায়ী ঋণ মকুব করা। সরকারে কে সেই লোক, যিনি চোর-দরজা দিয়ে নীরব মোদী, মেহুল চোক্সী, বিজয় মাল্যদের পরেও একের পর এক বন্ধু শিল্পপতিকে পালাতে সাহায্য করছেন?’’
কংগ্রেস জানাচ্ছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সরকারি ব্যাঙ্ক বুঝতে পারে ফ্রস্ট ইন্টারন্যাশানাল সংস্থা টাকা ফেরাবে না। ছয় মাস চুপ থাকার পর অগস্টে তাদের চিঠি লেখা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে লুক আউট নোটিস জারি করতে বলা হল পরের বছর জানুয়ারিতে। তা করতে আরও এক সপ্তাহ সময় নিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তারও ছয় মাস পর ১৪টি ব্যাঙ্কের বৈঠকে স্থির হয়, অভিযোগ করা হবে। সেটি দায়ের হল চলতি মাসের ১৮ তারিখে। দু’দিন আগে হানা দিল সিবিআই। সব নির্দেশক তখন বেপাত্তা। বিজেপি কংগ্রেসের অভিযোগে আমল দিতে চাইছে না। দলের যুক্তি, আইন মাফিক কাজেও আপত্তি কেন তাদের?