(বাঁ দিকে) সনিয়া গান্ধীকে জড়িয়ে ধরেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিটিআই।
ভারত সফর শেষের আগে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে আলিঙ্গনাবদ্ধ হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পুত্র-কন্যা-সহ দিল্লির হোটেল আইটিসি মৌর্যে যান সনিয়া। সেখানেই তৈরি হয় এক আবেগঘন মুহূর্ত। প্রিয়ঙ্কা জড়িয়ে ধরে হাসিনাকে বলেন, ‘‘অনেক দিন পরে তোমার সঙ্গে দেখা হল।’’ রাহুল এবং সনিয়ার সঙ্গেও চলে হাসিনার কথোপকথন।
হাসিনার সঙ্গে সনিয়াদের সাক্ষাতের একটি ৪০ সেকেন্ডের ভিডিয়ো আজ কংগ্রেসের তরফে প্রকাশ করা হয়। তাতে তাঁদের একত্রে আলাপচারিতা এবং আলিঙ্গনাবদ্ধ হতে দেখা গিয়েছে। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, উভয় পক্ষ আস্থা, সহযোগিতা এবং পারস্পরিক প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে ভারত-বাংলাদেশ বন্ধনকে শক্তিশালী করার জন্য বিস্তৃত ভাবে এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
নয়াদিল্লি এলে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে হাসিনা দেখা না-করে ফেরেন না। যে ভাবে প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী যত দিন জীবিত ছিলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের দেখা করা ছিল বাধ্যতামূলক। প্রণবের সঙ্গে দাদা-বোনের সম্পর্ক ছিল হাসিনার। রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, এই বিষয়গুলির সঙ্গে ক্ষমতাসীন থাকা বা না-থাকা, প্রোটোকল বা কূটনীতির কোনও সম্পর্ক নেই— সম্পর্কটা পারিবারিক পর্যায়ে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে। শেখ মুজিবুর রহমান এবং ইন্দিরা গান্ধীর পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে মাধুর্য আজও একই রকম। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সাফল্যের জন্য তাঁদের অভিনন্দন জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আর সনিয়া, প্রিয়ঙ্কা, রাহুল—প্রত্যেকেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর শরীর-স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন।