পরিচারিকার কাণ্ডে চমকে গিয়েছেন সকলে। প্রতীকী ছবি।
বাড়ির ফ্রিজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু টেকনিশিয়ানকে ডাকার দরকার হয়নি তাঁর। বাড়ির পরিচারিকা নিজেই সেই ফ্রিজ মেরামত করেছেন। আবার বাড়ির মাসকাবারি বাজারের ফর্দ খাতায় বা কাগজে লেখেননি তিনি। ঝটপট হাতে রাখা ট্যাবলেটে লিখেছেন। তা-ও আবার ইংরাজিতে! পরিচারিকার এমন কীর্তিতে মুগ্ধ হয়েছেন বাড়ির কর্তা।
সম্প্রতি তাঁর চৌখস ও টেক-স্যাভি পরিচারিকাকে নিয়ে গর্ব করে এ কথা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘রেডিটে’ তুলে ধরেছেন বেঙ্গালুরুর এক ব্যক্তি। ট্যাবলেটে মুদিখানার ফর্দ ইংরাজিতে লিখেছেন পরিচারিকা। শুধু তাই নয়, প্রতিটি বানানও একেবারে নির্ভুল। পরিচারিকার এই গুণ দেখে মজেছেন ওই ব্যক্তি।
সেই ছবি। ছবি রেডিট থেকে।
এই দৃষ্টান্ত তুলে ধরে তিনি লিখেছেন যে, পরিচারিকা মানেই সকলে তাঁকে হেয় করেন কিংবা অশিক্ষিত ভাবেন। কিন্তু সময় বদলেছে। পরিচারিকারও যে শিক্ষিত ও চৌখস, সেই বার্তাই দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। পরিচারিকা সম্পর্কে আরও অনেক কথা তুলে ধরেছেন তিনি। কাজে আসতে দেরি হলে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে যে তাঁকে জানান পরিচারিকা, সে কথাও উল্লেখ করেছেন ওই ব্যক্তি। এমনকি, টাকা লেনদেনের জন্য ‘গুগল পে’-তেও তাঁর পরিচারিকা যে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, তা-ও জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
সমাজমাধ্যমে এমন গুণী পরিচারিকার কীর্তি দেখে মজেছেন অনেকেই। কেউ কেউ তাঁর ইংরাজির প্রশংসা করেছেন। কেউ আবার পরিচারিকের হাতের লেখার তারিফ করেছেন।