—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সদ্যোজাত শিশুকন্যার দু’হাতে সাতটি করে আঙুল। ছ’টি করে আঙুল রয়েছে দু’পায়ে। সব মিলিয়ে মোট ২৬টি আঙুল। রবিবার এমনই বিরল ঘটনার সাক্ষী হলেন রাজস্থানের এক দম্পতি-সহ স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকেরা। শিশুটিকে ঈশ্বরের অবতার বলে মনে করছেন দম্পতির আত্মীয়েরা। যদিও জিনগত কারণেই শিশুটির হাতে-পায়ে অতিরিক্ত আঙুল রয়েছে বলে মত চিকিৎসকদের।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ডীগ জেলার কমান শহরের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক শিশুকন্যার জন্ম দেন ২৫ বছরের সরযূ দেবী। সরযূর স্বামী গোপাল ভট্টাচার্য সিআরপিএফের হেড কনস্টেবল পদে কর্মরত। আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা সরযূর প্রসবযন্ত্রণা শুরু হলে তাঁকে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করিয়েছিলেন তিনি। রবিবার সেখানে জন্ম হয় শিশুসন্তানের। সদ্যোজাতের ২৬টি আঙুল দেখে সরযূ এবং গোপালের আত্মীয়-পরিজনেরা আপ্লুত। তাঁদের মতে, পরিবারের আরাধ্যা দেবীর অবতার ঘরে এসেছে। ঢোলাগড় দেবীর পুজোআর্চা করা সরযূর দাদা দীপক বলেন, ‘‘ঈশ্বরের রূপেই আমাদের পরিবারে মেয়ের জন্ম হয়েছে। আমরা ভাগ্য ভাল যে ঘরে লক্ষ্মী এসেছে।’’
একে বিরল ঘটনা বলে আখ্যা দিয়েছেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির চিকিৎসক বিএস সোনি। তিনি বলেন, ‘‘শিশুকন্যাটির দু’হাতে সাতটি করে এবং প্রতি পায়ে ছ’টি করে আঙুল রয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় একে ‘পলিড্যাকটিলি’ বলে। বিরল হলেও শরীরে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ২৬টি আঙুল থাকাটা আসলে জিনগত অসঙ্গতি। এতে ক্ষতির কিছু নেই। সদ্যোজাত সুস্থ রয়েছে।’’