আল্ট্রাসোনোগ্রাফি দেখে অবাক ডাক্তারেরাও! ছবি: সংগৃহীত।
আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলার! গর্ভস্থ ভ্রূণের গর্ভে রয়েছে আরও একটি ভ্রূণ! অবাক চিকিৎসকেরাও। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে।
দিন দুয়েক আগে বুলধানার সরকারি হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলা শারীরিক পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন। ন’মাসের গর্ভবতী ওই মহিলা বুলধানারই মোতালা মহকুমার একটি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বয়স ৩২। হাসপাতালের নির্দিষ্ট বিভাগে মহিলার আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করছিলেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ প্রসাদ আগরওয়াল। হঠাৎ দেখা যায়, মহিলার পেটে যে ভ্রূণ নড়াচড়া করছে, তার শরীরের ভিতরে রয়েছে আরও একটি প্রাণের উপস্থিতি! অবাক হয়ে আরও তিন তিন বার মহিলার আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করেন ডাক্তারেরা। কিন্তু প্রতি বারই দেখা যায় একই চিত্র।
সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন চিকিৎসকদের খবর দেন প্রসাদ। উপরমহলের নির্দেশে মহিলাকে দ্রুত সম্ভাজিনগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে। মহিলার প্রসবকালীন যে কোনও ধরনের জটিলতার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত রয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকেরা। খবরটি প্রকাশ্যে আসার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এই ধরনের ঘটনা ঝুঁকিপূর্ণ কি না, এ ক্ষেত্রে প্রসবের সময় কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে, মহিলা ও তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না— সে সব নিয়ে কৌতূহলেরও শেষ নেই। যদিও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ প্রসাদ জানাচ্ছেন, এতে মহিলার কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে প্রসবের পর সদ্যোজাত সন্তানের অবিলম্বে চিকিৎসা করানো না হলে তার বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। প্রয়োজনে করাতে হতে পারে অস্ত্রোপচারও।
সার্জেন ভাগবত ভুসারি জানাচ্ছেন, ডাক্তারির পরিভাষায় এই বিরল ঘটনাকে বলা হয় ‘ফিটাস ইন ফিটু’ বা ভ্রূণের মধ্যে ভ্রূণ। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত এ ধরনের প্রায় ২০০টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২০টি ঘটনা ঘটেছে ভারতেই!