সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ এই পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ শনিবার অযোধ্যা মামলার রায় দিল।
রঞ্জন গগৈ
দেশের ৪৬তম প্রধান বিচারপতি। অমিতাভ বচ্চনের আয়কর সংক্রান্ত মামলা, অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি চালু, অযোধ্যা জমি বিতর্ক-সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন। বেনজির ভাবে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে যে-চার জন বিচারপতি তৎকালীন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন, গগৈ তাঁদের অন্যতম। তাঁর বিরুদ্ধেই আবার যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন শীর্ষ আদালতের এক মহিলা কর্মী।
শরদ অরবিন্দ বোবদে
দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগ, আধার, অযোধ্যা জমি বিতর্কের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলায় বেঞ্চের সদস্য ছিলেন। মুম্বইয়ের মহারাষ্ট্র জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় এবং নাগপুরের মহারাষ্ট্র জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের দায়িত্ব সামলেছেন।
এস আব্দুল নাজির
কোনও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি না-হওয়া সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত করা হয়। তাৎক্ষণিক তিন তালাক মামলা যে-বেঞ্চে হয়েছিল, তার সদস্য ছিলেন। ওই মামলায় তিন তালাক প্রথাকে ‘সংবিধান-বিরোধী’ তকমা দেওয়ার বিরোধী ছিলেন তিনি। যুক্তি, ইসলামে যার উল্লেখ রয়েছে, তাকে অসাংবিধানিক দাগিয়ে দেওয়াটা ঠিক নয়। ওই প্রথার উপরে ছ’মাসের স্থগিতাদেশ দেওয়ার পক্ষেই ছিলেন।
আরও পড়ুন: অযোধ্যা মামলার রায় আজ
অযোধ্যা মামলা সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?
অশোক ভূষণ
২০০১-এ ইলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত। ২০১৪ সালে কেরল হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। পরের বছর ওই হাইকোর্টেরই প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত। ২০১৬ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন। মুম্বইয়ের আরে অরণ্যে গাছ কাটা, দিল্লিতে আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত মামলা-সহ বিভিন্ন বেঞ্চের সদস্য ছিলেন।
ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়
প্রধান বিচারপতি হওয়ার সম্ভাবনা। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের দায়িত্ব সামলেছেন। সুপ্রিম কোর্টে আধার মামলায় বেঞ্চের সদস্য ছিলেন। মামলায় পৃথক রায় দিয়ে সতর্ক করেছিলেন, প্রতিটি তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে আধার যুক্ত হলে ব্যক্তিপরিসরের অধিকারে আঘাতের আশঙ্কা থেকে যায়। মূলত আধারের বর্তমান ব্যবস্থার ১০টি গলদের কথা উল্লেখ করেছিলেন।