প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি মামলায় অন্যতম প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। মুসলিম পক্ষের প্রধান মামলাকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন ইকবাল আনসারি। শনিবার তাঁকেও দেখা গেল, ফুল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে। অযোধ্যার রাস্তার পাশেই সঙ্গীদের নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। দু’হাতে ফুলের পাপড়ি। নরেন্দ্র মোদীর কনভয় প্রবেশ করতেই পুষ্পবৃষ্টিতে যোগ দেন আনসারি।
পরে সংবাদমাধ্যমকে আনসারি বলেন, ‘‘আমাদের অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী এসেছেন। অতিথিকে বরণ করাই তো কর্তব্য।’’ ২২ জানুয়ারি রামন্দিরের উদ্বোধন হবে অযোধ্যায়। আমন্ত্রণ পেলে সেই অনুষ্ঠানেও যাবেন তিনি। আনসারি বলেন, ‘‘যদি আমন্ত্রণ পাই, অবশ্যই যাওয়ার ইচ্ছা আছে।’’ এর আগে মন্দিরের ভূমিপূজা অনুষ্ঠানে প্রথম আমন্ত্রণ তাঁর কাছেই গিয়েছিল। দৃশ্যতই আনন্দিত আনসারি সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘ভগবানের রামের ইচ্ছাতেই আমি আমন্ত্রণ পেয়েছি এবং তা গ্রহণ করেছি।’’
নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যার জন্য যা করেছেন, তার জন্য আনসারি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, মোদীর নেতৃত্বেই অযোধ্যার উন্নয়ন হয়েছে। যা ছিল একটা ছোট্ট রেলস্টেশন, এখন সেখানে বিমানবন্দর হয়েছে। আনসারি দাবি করেন, রামমন্দির গঠিত হওয়ায় তিনি খুব খুশি। এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে পর্যটন, কর্মসংস্থান এবং শিল্পের বিকাশ হবে বলে তিনি আশাবাদী। তাঁর বক্তব্য, অযোধ্যার সম্প্রীতির দৃষ্টান্তই সকলের অনুসরণ করা উচিত। এখানে সকলেই সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকে।
আজ প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত একটি রোড শো করেন। রাস্তার দু’ধারে তাঁকে স্বাগত জানাতে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। পুষ্পার্ঘ্য নিয়ে তার মধ্যেই ছিলেন আনসারিরাও। আনসারির কথায়, ‘‘মোদী সকলের প্রধানমন্ত্রী। অযোধ্যাকে তিনিই সাজিয়ে তুলেছেন। আজ তিনি অযোধ্যার অতিথি। এটা অযোধ্যাবাসীর গর্ব। আমাদের ধর্ম আর ঐতিহ্যই হল, তাঁকে স্বাগত জানানো, তাঁর পাশে দাঁড়ানো।’’
আনসারির পিতা হাশিম আনসারিই কিন্তু রাম জন্মভূমি মামলায় মুসলিম পক্ষের প্রধান মামলাকারী ছিলেন। হাশিমের মৃত্যুর পর ইকবাল আনসারি সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলায় বাবার জায়গায় নিজে আসেন। তবে শীর্ষ আদালতের রায় যখন হিন্দুদের পক্ষে গেল, আনসারি সেই রায়কে স্বাগত জানিয়েছিলেন।