বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। —ফাইল চিত্র।
ঘন কুয়াশায় মোড়া দিল্লি কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু। কয়েকটি জায়গায় দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে যায় আজ সকালে। এই পরিস্থিতিতে আজও দারুণ ভাবে ব্যাহত হয়েছে বিমান ও রেল চলাচল। রাজধানীর পাশাপাশি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশ কয়েকটি শহরেও গত কয়েক দিন ধরে বিঘ্নিত হচ্ছে বিমান পরিষেবা। বিমান চলাচল সুষ্ঠু ভাবে হওয়া নিশ্চিত করতে আজই দেশের ছ’টি বিমানবন্দরে ‘ওয়ার রুম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
কুয়াশার জেরে অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উড়ান বাতিল ও বিলম্বের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামলাতে নয়া ‘অ্যাকশান প্ল্যান’ ঘোষণা করলেন জ্যোতিরাদিত্য। ছ’টি অ্যাকশন প্ল্যানের কথা এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন তিনি। যাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যে কোনও সমস্যার সমাধান করা যায়। এক্স হ্যান্ডলে জ্যোতিরাদিত্য লিখেছেন, দিল্লি-মুম্বই-কলকাতা-চেন্নাইয়ের মতো দেশের ছ’টি মেট্রো বিমানবন্দরে ‘ওয়ার রুম’ তৈরি করা হবে। ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব যৌথ ভাবে থাকবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বিমান সংস্থাগুলির উপরে। ‘ওয়ার রুম’গুলি যাত্রীদের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান করবে। একই সঙ্গে, বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত পরিমাণে সিআইএসএফ কর্মীদের উপস্থিতির কথা বলেছে বিমানমন্ত্রী। যাঁরা ২৪ ঘণ্টা ‘যাত্রী স্বাচ্ছন্দে কাজ করবেন’। বিমানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, কম দৃশ্যমানতায় যাতে বিমান ওঠা-নামায় অসুবিধা না হয়, সে কারণে দিল্লি বিমানবন্দরেরে একটি নির্দিষ্ট রানওয়েতে ‘ক্যাট-থ্রি’ নামে এক বিশেষ প্রযুক্তিকে ফের চালু করা হবে।
দিল্লি থেকে গোয়াগামী ইন্ডিগো সংস্থার একটি বিমান রবিবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা দেরি করে ছাড়ায় বিমানচালকের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে চড়াও হন এক যাত্রী। ওই ঘটনার জেরে কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল বিঘ্নিত হলেও যাতে যাত্রীদের নাকাল হতে না হয়, তা নিয়ে গত কালই নির্দেশিকা জারি করা হয়। আজও কুয়াশার কারণে দিল্লিতে ৩০টি বিমানের যাত্রায় দেরি হয়। বাতিল করা হয় ১৭টি উড়ান।
এ দিকে, টারম্যাকে বসে নৈশহারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। গত রাতেই বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জ্যোতিরাদিত্য। ওই ঘটনার জন্য বিমান সংস্থা ইন্ডিগো এবং মুম্বই বিমানবন্দরকে শো-কজ় করেছে বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।