বেঙ্গালুরুতে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের মা নাতির হেফাজত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। —ফাইল চিত্র।
ছেলেকে হারিয়েছেন। এখন নাতিকেই আঁকড়ে ধরতে চান বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের মা। চার বছরের নাতির হেফাজত চেয়ে তাই তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে ওই শিশুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সে কার কাছে আছে, কেউ জানে না। সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়ে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং কর্নাটক সরকারকে নোটিস দিয়েছে।
গত ৯ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাটে আত্মঘাতী হন অতুল। মৃত্যুর আগে তিনি ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট লিখেছিলেন। সেই সঙ্গে রেকর্ড করেছিলেন দেড় ঘণ্টার ভিডিয়োবার্তা। স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া এবং তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেছেন অতুল। স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। নিকিতা-সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু পুলিশ আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু করে। নিকিতা, তাঁর মা নিশা এবং ভাই অনুরাগকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অতুলের সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে চেয়ে তাঁর মা অঞ্জু মোদী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, নাতি কোথায়, তা তিনি জানেন না। অতুলের মায়ের অভিযোগ, নাতিকে কোথায় রাখা হয়েছে, সে সম্বন্ধে কোনও তথ্য তাঁকে বা তাঁর পরিবারের কাউকে জানানো হয়নি।
সূত্রের খবর, পুলিশকে নিকিতা জানিয়েছেন, ফরিদাবাদের একটি বোর্ডিং স্কুলে রয়েছে তাঁদের সন্তান। সে বর্তমানে নিকিতার কাকা সুশীল সিংহানিয়ার হেফাজতে রয়েছে বলেও পুলিশের কাছে দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু সুশীল পুলিশকে জানিয়েছেন, শিশুটি কোথায় আছে, তা তিনি জানেন না। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। আদালত তিন রাজ্যের সরকারকে নোটিস দিয়ে শিশুটির বর্তমান অবস্থান জানতে চেয়েছে।
অতুলের অভিযোগ ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। নানা ভাবে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। চাপ সহ্য করতে না-পেরে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিকিতাদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে অতুলের পরিবার।