— প্রতীকী ছবি।
মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ‘অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড’ (এটিএস)-এর হাতে গ্রেফতার হলেন এক দম্পতি। আদতে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার বাসিন্দা দম্পতিকে এটিএস ছত্তিসগঢ়ের রাইপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
দম্পতির গ্রেফতারির খবর জানিয়ে এটিএসের তরফ থেকে স্পেশাল ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার একটি নোট জারি করেছেন। তাতে দাবি করা হয়েছে, ৪৩ বছরের ব্রিজেশ কুশওয়াহা এবং তাঁর স্ত্রী ৩৮ বছরের প্রভা কুশওয়াহার উপর দীর্ঘ দিন ধরেই নজর রাখা হয়েছিল। মাওবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে আগে ভোপাল থেকে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করেছিল এটিএস। তাঁদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা কিছু ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস থেকেই কুশওয়াহা দম্পতির সন্ধান পায় এটিএস। তার পর থেকেই এটিএসের র্যাডারে ছিলেন ব্রিজেশ এবং প্রভা।
২০১৯ সালে ভোপাল, কানপুর, দেওরিয়া এবং কুশিনগরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সাত জনকে হেফাজতে নিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের এটিএস। সে বছর ৫ জুলাই লখনউতে এ ব্যাপারে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। ধৃতদের মধ্যে পাঁচ জনকে প্রমাণের অভাবে এটিএস ছেড়ে দিলেও গ্রেফতার করা হয়েছিল মণীশ এবং অমিতা ওরফে বর্ষা শ্রীবাস্তবকে। তাঁদের মোবাইল থেকেই কুশওয়াহা দম্পতির সন্ধান পায় পুলিশ। তবে শুরুতেই গ্রেফতার না করে বেশ কিছু দিন ধরে দম্পতির উপর নজর রাখা হয়েছিল বলে দাবি এটিএসের। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার।
এটিএস সূত্রে খবর, গোরক্ষপুর থেকে সংস্কৃতে স্নাতকোত্তর করেছেন ব্রিজেশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ব্রিজেশ ‘ইনকিলাবি ছাত্র সভা’-এর সঙ্গে যুক্ত হন। ২০০৬ সালে সেই সংগঠনেরই কাজে বিলাসপুর গিয়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ প্রভার। সেখান থেকে প্রেম এবং অতঃপর ২০১০ সালে দু’জনে বিয়ে করেন। দম্পতি একসঙ্গেই ‘মজদুর কিসান একতা মঞ্চ’ এবং ‘সাবিত্রীবাই ফুলে সংঘর্ষ সমিতি’র হয়ে কাজ করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দম্পতি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন সিপিআই মাওবাদীর সঙ্গে যুক্ত। ওই দুই সংগঠনের আড়ালে দেশ বিরোধী কার্যকলাপে তাঁরা যুক্ত ছিলেন বলেও দাবি এটিএসের।