দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। —ফাইল চিত্র।
শনিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন অতিশী মারলেনা। অরবিন্দ কেজরীওয়ালের ইস্তফার পর তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিয়েছে আম আদমি পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ১৩টি দফতরই নিজের দখলে রাখলেন অতিশী। তাঁর সঙ্গে দিল্লির মন্ত্রিসভার পাঁচ জন সদস্য শনিবার শপথ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যেও দফতর বণ্টন করা হয়েছে।
অতিশীর অধীনে থাকছে দিল্লির পূর্ত দফতর, বিদ্যুৎ দফতর, শিক্ষা দফতর, উচ্চশিক্ষা দফতর, প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি শিক্ষা দফতর, জনসংযোগ দফতর, রাজস্ব দফতর, অর্থ দফতর, পরিকল্পনা দফতর, ভিজিল্যান্স দফতর, জনসেবা দফতর, জল দফতর এবং আইন ও বিচার দফতর। এ ছাড়া আরও যে সব দফতর কোনও মন্ত্রীর হাতে নেই, সেগুলির দায়িত্বে থাকবেন অতিশীই। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগেও দিল্লির এই ১৩টি দফতর অতিশীর হাতেই ছিল। কেজরীওয়ালের হাতে নির্দিষ্ট কোনও দফতর ছিল না। তিনি সব দফতরের কাজই পরিচালনা করতেন।
অতিশীর মন্ত্রিসভার মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজের দায়িত্বে রয়েছে আটটি দফতর। নগরোন্নয়ন, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য, শিল্প, সংস্কৃতি ও ভাষা, পর্যটন, সমাজোন্নয়ন এবং সহযোগিতা দফতর সামলাবেন সৌরভ। সমাজোন্নয়ন এবং সহযোগিতা দফতর এর আগে সামলাতেন রাজকুমার আনন্দ, যিনি গত এপ্রিলে পদত্যাগ করেছেন।
মন্ত্রী গোপাল রাইয়ের অধীনে রয়েছে উন্নয়ন, সাধারণ প্রশাসন, পরিবেশ এবং বন দফতর। মন্ত্রী কৈলাস গহলৌত পেয়েছেন পরিবহণ, প্রশাসনির সংস্কার, তথ্যপ্রযুক্তি, স্বরাষ্ট্র এবং নারী ও শিশুকল্যাণ দফতর। ইমরান হুসেনকে দেওয়া হয়েছে খাদ্য এবং নির্বাচন দফতরের দায়িত্ব। এ ছাড়া মুকেশ অহলাওত পেয়েছেন গুরুদ্বার নির্বাচন, তফসিলি জাতি জনজাতি উন্নয়ন, ভূমি ও ভবন, শ্রম এবং কর্মসংস্থান দফতরের দায়িত্ব। মুকেশ দিল্লির মন্ত্রিসভার নতুন সদস্য।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তত দিন পর্যন্ত অতিশীর নেতৃত্বে এই মন্ত্রিসভা রাজধানীর কাজ সামলাবে। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর অতিশী বর্তমানে দেশের দ্বিতীয় মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।