Atiq Ahmed Murder

মাথা, ঘাড়, বুক, কোমর— ২২ সেকেন্ডে ঝাঁঝরা আতিক! ৮ বুলেটের সন্ধান ময়নাতদন্তে

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, আতিক এবং আশরফের জন্য মোট ১৩টি গুলি খরচ করা হয়েছিল। প্রথমেই আতিকের মাথায় গুলি করা হয়। তার পর একে একে গুলি লাগে তাঁর ঘাড়ে, বুকে এবং কোমরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ১০:১৬
Share:
Atiq Ahmed was hit by 8 bullets says his autopsy report.

বন্দি অবস্থায় আতিক আহমেদকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। ফাইল ছবি।

মাথা, ঘাড়, বুক, কোমর— উত্তরপ্রদেশের ‘গ্যাংস্টার’ আতিক আহমেদের শরীরে মোট ৮টি বুলেটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এমনটাই জানা গেল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। এ ছাড়া, আতিকের ভাই আশরফকে লক্ষ্য করে আরও ৫টি গুলি ছোড়ে আততায়ীরা। সবকটি গুলি পাওয়া যায়নি।

Advertisement

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, আতিক এবং আশরফের জন্য মোট ১৩টি গুলি খরচ করা হয়েছিল। প্রথমেই আতিকের মাথায় গুলি করা হয়। তার পর একে একে গুলি লাগে তাঁর ঘাড়ে, বুকে এবং কোমরে। মাত্র ২২ সেকেন্ডেই ঝাঁঝরা হয়ে যায় ‘গ্যাংস্টারের’ শরীর।

আতিকের ভাই আশরফের ঘাড়ে, পিঠে, কবজিতে, পেটে এবং কোমরে গুলি লেগেছে। তাঁর দেহের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে তিনটি গুলি। বাকি দু’টি গুলি আশরফের শরীর ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, যে পিস্তল দিয়ে আতিক এবং আশরফকে গুলি করা হয়েছিল, সেটি ‘জিগানা’। তুরস্কের একটি সংস্থার তৈরি। মোট ২২ সেকেন্ড ধরে গুলি চালানো হয়।

Advertisement

আতিককে খুনের ঘটনা কি উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত?

ফলাফল দেখুন

বন্দি আতিক, আশরফকে শনিবার রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। হাসপাতাল চত্বরে হাঁটতে হাঁটতে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলেন দুই ভাই। এই সময় আচমকা তাঁদের লক্ষ্য করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালানো হয়। লাইভ ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই হত্যার দৃশ্য। আততায়ীরা পুলিশের চোখের সামনেই স্লোগান দিতে দিতে গুলি চালিয়েছিল। তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

অভিযোগ, হাতে বুম নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মিশে ছিল আততায়ীরা। তাদের প্রথমে দুষ্কৃতী বলে চেনা যায়নি। হঠাৎ সাংবাদিকদের মধ্যে দাঁড়ানো এক জন তার হাতে ধরা বুম এবং ক্যামেরা ফেলে দেয়, তার পরই পিস্তল বার করে পর পর গুলি চালায়। লুটিয়ে পড়েন আতিক এবং তাঁর ভাই। এই হত্যাকাণ্ডের পর উত্তরপ্রদেশের সর্বত্র ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের নিরাপত্তাও বড়সড় প্রশ্নের মুখে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement