পাথর খাদানে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: সংগৃহীত।
মিজ়োরামে পাথর খাদানে ধস নেমে মৃত্যু হল অন্তত ১৪ জনের। আরও অনেকে ওই খাদানে আটকে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজও। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে মিজ়োরামের রাজধানী আইজ়লের ওই পাথর খাদানে হঠাৎই ধস নামে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল শক্তি খুইয়ে বর্তমানে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলেও তার প্রভাবে ভারী বর্ষণ হচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে। ভূমিধসের কারণে রাজ্যের একাধিক ছোটবড় রাস্তায় গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয়েছে। বন্ধ করে দিতে হয়েছে স্কুল। এমনকি সরকারি কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
খাদানে ধস নামার ঘটনায় মিজ়োরামের ডিজি অনিল শুক্ল বলেন, “যাঁরা ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েছেন, তাঁদের উদ্ধার করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চলছে। কিন্তু ভারী বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।” ধস নামার কারণে মিজ়োরামের উপর দিয়ে যাওয়া ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে স্থলপথে বাকি ভারতের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে এই রাজ্যটি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠকে বসেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লালডুহোমা।
রবিবার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ক্রমশ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঝড়বৃষ্টির জেরে মিজ়োরামে উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, বড় গাছ। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন অসম এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টি চলবে।