National News

রাঁচীর ভিআইপি জোনে বন্দুকের মুখে তরুণীকে গণধর্ষণ

ঝাড়খণ্ডের কাঁকি থানায় ধর্ষিতার দায়ের করা এফআইআর অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে গত ২৬ নভেম্বর। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রাঁচী শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:১৭
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

যে এলাকায় থাকেন রাজ্য পুলিশের ডিজি, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা, সেখানেই বন্দুক দেখিয়ে তুলে নিয়ে ১২ জন দুষ্কৃতী গণধর্ষণ করল আইনপড়ুয়া এক তরুণীকে। ঘটনাটা ঘটল রাঁচীর কাছে, বৃহস্পতিবার। একটি সর্বভারতীয় দৈনিকের খবর, ১২ জন দুষ্কৃতীই ধরা পড়েছে পুলিশের হাতে। পুলিশের কাছে তারা দোষ কবুলও করেছে।

Advertisement

ঝাড়খণ্ডের কাঁকি থানায় ধর্ষিতার দায়ের করা এফআইআর অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে গত ২৬ নভেম্বর। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। ২৫ বছর বয়সী ধর্ষিতা তরুণী ওই সময় ছিলেন রাঁচীর অদূরে মফস্‌সল এলাকা সংগ্রামপুরে তাঁর বান্ধবীর পাড়ায়। বাইকে চেপে এসে দুষ্কৃতীরা বন্দুকের মুখে তুলে নিয়ে যায় তরুণীকে। তাঁর বান্ধবী বাধা দেওয়ার জোর চেষ্টা করেছিলেন। পেরে ওঠেননি দুষ্কৃতীদের সঙ্গে।

দুষ্কৃতীরা রাঁচীর আইন কলেজ থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে একটি ইটভাটায় নিয়ে যায় তরুণীকে। যেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ কিলোমিটার দূরে। তবে খুব কাছেই রাজ্য পুলিশের ডিজি, ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আর রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার বাসভবন।

Advertisement

আরও পড়ুন- হায়দরাবাদে তরুণী পশুচিকিৎসককে ধর্ষণের পর পোড়ানো হয়, অনুমান পুলিশের​

আরও পড়ুন- পঞ্চসায়র-কাণ্ডে দ্রুত চার্জশিটের পথে পুলিশ​

থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে ধর্ষিতা জানিয়েছেন, তাঁকে তোলার কিছু পরেই বাইকটি বিগড়ে যায়। তখন দুষ্কৃতীরা ফোন করে তাদের বন্ধুবান্ধবদের। বলে একটি গাড়ি নিয়ে সেখানে চলে আসতে। তার পর সেই গাড়িতে তুলেই তারা তরুণীকে নিয়ে যায় ইটভাটায়। সেখানে তাঁকে ১২ জনে মিলে ধর্ষণ করে বলে তরুণীর অভিযোগ। ঘটনার পরের দিন ধর্যিতা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement