এক বছরের মধ্যে রাস্তাঘাটের উন্নতি আর আবগারি রাজস্ব দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিলেন মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। আজ আনন্দবাজার সংস্থা আয়োজিত এনআইসিটি-২০১৬ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে ‘স্পটলাইট’ বিভাগে অতিথি ছিলেন পরিমলবাবু।
বরাকের মানুষের সব চেয়ে বেশি অভিযোগ ছিল রাস্তা নিয়ে। সেখানকার বিধায়ককে পূর্ত দফতরের দায়িত্ব দেওয়ায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন মানুষ। কিন্তু নতুন সরকারের ১০০ দিন পূরণ হলেও বরাকে রাস্তার হাল এতটুকুও ফেরেনি বলে অভিযোগ। অবশ্য পূর্তমন্ত্রীর বক্তব্য, বিজেপি-অগপ-বিপিএফ জোটের সরকার শপথ নেওয়ার পর থেকেই একটানা বৃষ্টি-বন্যা চলছে। তাই ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক তৈরি ও মেরামতির কাজ ব্যহত হয়েছে। অক্টোবর থেকে গুয়াহাটি থেকে মেঘালয় হয়ে বরাকে যাওয়ার রাস্তার কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চালানো হবে। তিনি বলেন, ‘‘অসমের দিকের রাস্তা ৬ মাসের মধ্যে তৈরি করে ফেলা হবে। মেঘালয়ের অংশ রাস্তা তৈরির জন্য কেন্দ্র ও মেঘালয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে।’’
৩৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই অংশে কাছাড়ের কালাইন থেকে মালিডহর পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা সব চেয়ে শোচনীয়। মেঘালয়ের ল্যাডরিমবাইতেও রাস্তা খারাপ। মন্ত্রী জানান, পূর্ত দফতরের হাইওয়ে শাখা জাতীয় সড়ক সারানোর কাজ দ্রুত শুরু করবে। রাস্তা সারানো হলে মিজোরাম, ত্রিপুরা ও মণিপুরের সঙ্গেও যোগাযোগ দ্রুততর হবে।
পরিমলবাবুর মতে, প্রথম এনডিএ আমলে প্রস্তাবিত ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের কাজ ১৬ বছরেও শেষ না হওয়ায় অসম-মিজোরাম-ত্রিপুরা ও মণিপুর প্রভাবিত হয়েছে। ডবকার বাজে রাস্তাকে চার লেন করে পার্বত্য জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ভাল করার ক্ষেত্রেও আশাবাদী পূর্তমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘‘উজানি অসম পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা তৈরির কাজ বিভিন্ন কারণে ব্যহত হয়েছে। জাতীয় সড়ক নির্মাণ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঠিকাদারদের সমস্যা, সন্ত্রাসের সমস্যা, জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণের জটিলতার জন্য থমকেছে কাজ। আশা করি চার-পাঁচ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। ততদিন আমরা দুই লেনের রাস্তায় মেরামতি চালিয়ে যান চলাচল সুগম রাখব।’’
আবগারি বিভাগের দায়িত্বে থাকা পরিমলবাবু জানান, উৎসবের শহর ও রাতের শহরকে নিরাপদ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করতেই বিধিনিষেধ ও ‘ড্রাই ডে’ লাগু করা হয়েছে। তিনি জানান, গত অর্থবর্ষে আবগারি রাজস্ব বাবদ ৭৯৯ কোটি টাকা উঠেছিল। এই অর্থবর্ষে তা দেড় হাজার কোটিতে নিয়ে যাওয়া বিভাগের লক্ষ্য। আবগারি রাজস্ব বৃদ্ধি উন্নয়নক্ষেত্রে অর্থের যোগান দেবে।