পঞ্জাবের ১১৭টি বিধানসভা আসনের মধ্যে গত বার ৭৭টিতে জিতেছিল কংগ্রেস। এ বার কতটা কমতে পারে? আপাতত এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সে রাজ্যে। কয়েকটি জনমত সমীক্ষা বলছে, দিল্লির পরে এ বার পঞ্চনদের রাজ্যেও একক বৃহত্তম দল হতে পারে অরবিন্দ কেজরীবালের আম আম আদমি পার্টি (আপ)। ২০১৭ সালেই শিরোমণি অকালি দলকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল তারা।
কাগজে-কলমে এ বার পঞ্জাবের ভোট-যুদ্ধ চতুর্মুখী। কংগ্রেস, আপের পাশাপাশি ক্ষমতার দৌড়ে রয়েছে অকালি দল-বিএসপি জোট। কৃষিবিল নিয়ে বিরোধের জেরে এনডিএ ছেড়ে এ বার মায়াবতীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদলের দল। পঞ্জাবের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে সমঝোতা করেছেন বিজেপি-র সঙ্গে। যদিও কৃষক আন্দোলনের জেরে পঞ্জাবে বিজেপি যথেষ্ট বেকায়দায় বলেই মনে করা হচ্ছে।
অররেন্দ্রকে সরিয়ে কংগ্রেস পঞ্জাবকে উপহার দিয়েছে সে রাজ্যের প্রথম দলিত মুখ্যমন্ত্রী— চরণজিৎ সিংহ চন্নী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজোৎ সিংহ সিধুর সঙ্গে সম্পর্ক ‘মসৃণ’ না হলেও চন্নীকে ফের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে দলিত-বহুল (মোট জনসংখ্যায় প্রায় ৩৩ শতাংশ) রাজ্যে এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই।